সাজেদুল হাসান নামটি দুই ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত। প্রথম ব্যক্তি একজন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটার এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদ।
মোহাম্মদ সাজ্জাদুল হাসান (ক্রিকেটার):
মোহাম্মদ সাজ্জাদুল হাসান, ডাকনাম "সেতু", একজন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটার ছিলেন। তিনি ১৯৭৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত খুলনা বিভাগীয় দলের হয়ে খেলেছেন এবং ঢাকার বিভিন্ন ক্লাব ক্রিকেটেও অংশগ্রহণ করেছেন। এই ক্লাবগুলোর মধ্যে রয়েছে ধানমণ্ডি ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন এবং সিটি ক্লাব। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি ৫০টি ম্যাচ খেলে ২৪৪৩ রান করেছেন, গড় ২৮.০৮। তিনি তিনটি শতক এবং বারোটি অর্ধশতক করেছেন, সর্বোচ্চ রান ১৪৭। তিনি খুলনা বিভাগীয় দলের দুইবার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। দুঃখজনকভাবে, ২০০৭ সালের ১৬ মার্চ, মাত্র ২৮ বছর বয়সে একটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মঞ্জরুল ইসলাম রানার সাথে মারা যান। ২০১৬ সালে তাকে খুলনা টাইটান্সের আইকন খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
সাজ্জাদুল হাসান (সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ):
সাজ্জাদুল হাসান (জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯৬১) একজন বাংলাদেশী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ছিলেন এবং নেত্রকোণা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৯৮৮ সালে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগদান করে তিনি বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সহকারী কমিশনার, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র সহকারী কমিশনার, জেলা প্রশাসক ইত্যাদি পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি কক্সবাজার ও সিলেট জেলার জেলা প্রশাসক ছিলেন এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ বিমানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানও ছিলেন। ২০২৩ সালের উপনির্বাচনে তিনি নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার পিতা আখলাকুল হোসাইন আহমেদ পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন এবং তার জ্যেষ্ঠ ভাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি। তার জন্ম নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে।
সাজেদুল হাসান ফাহাদ (ছাত্রলীগ নেতা): নিউ মার্কেট থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল হাসান ফাহাদ কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন। তিনি পিপলস্ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই শহীদুল্লাহ হলের সামনে তিনি গুলিবিদ্ধ হন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।