সাজু আহমেদ নামটি দুই ভিন্ন ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে। একজন হলেন বিখ্যাত কথক নৃত্যশিল্পী, অন্যজন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার একজন যুবক।
- *প্রথম সাজু আহমেদ:**
বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট কথক নৃত্যশিল্পী হলেন সাজু আহমেদ। তিনি ১৯৬০ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বাহারাম উদ্দিন আহমেদ এবং মাতার নাম আনোয়ারা খাতুন। বাবার চাকরির সূত্রে দর্শনায় জন্ম ও বেড়ে ওঠেন। তার বড় ভাই আনোয়ারুল ইসলাম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
দর্শনা কাস্টমস কলোনিতে বেড়ে ওঠা সাজু আহমেদের নৃত্যের হাতে খড়ি হয় বড় ভাইয়ের বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা রন্জু ভাইয়ের কাছে। তিনি কাস্টমস কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মেমনগর বিপ্রদাস (বিডি) মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করেন। দর্শনা ডিগ্রী কলেজে পড়াশুনার পর ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে এবং ১৯৮৭ সালে দিল্লী কথক কেন্দ্রে কথক নৃত্য শিক্ষা লাভ করেন। পন্ডিত বিরজু মহারাজ তার গুরু ছিলেন।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ নৃত্য শিল্পী সংস্থার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, বুলবুল ললিতকলা একাডেমির কথক নৃত্য গুরু এবং ২০২৩ সাল থেকে রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসোর্স পার্সন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃত্যকলার পরীক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তার উল্লেখযোগ্য নৃত্যনাট্যের মধ্যে আছে ‘জেনির কার্ল’ (কার্ল মার্কসের জীবনী ভিত্তিক) এবং 'দেশ ভাগ'। তিনি তার নৃত্য দল নিয়ে দেশ এবং বিদেশে (জাপান, মালয়েশিয়া, কাতার) নৃত্য পরিবেশন করেছেন। তিনি প্রতি বছর ডিসেম্বর ২৪ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নৃত্য উৎসব পালন করেন। তার নৃত্যকলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২২ সালে তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রদত্ত শিল্পকলা পদক লাভ করেন।
- *দ্বিতীয় সাজু আহমেদ:**
এই সাজু আহমেদ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার একজন যুবক। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে, তিনি ১২ জন যুবকের সাথে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করার চেষ্টা করার সময় বিএসএফ কর্তৃক আটক হন। তাদেরকে ভারতে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালানের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বয়স ২০।
সাজু আহমেদ নামের দুই ব্যক্তির সম্পর্কে জানতে চাইলে দয়া করে নির্দিষ্ট করুন কোন সাজু আহমেদের তথ্য আপনি জানতে চান।