সাইমুম রেজা তালুকদার: একজন বিশিষ্ট আইনজীবী ও গবেষক
সাইমুম রেজা তালুকদার বর্তমানে বাংলাদেশের ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সিনিয়র লেকচারার হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে নাম নথিভুক্ত আইনজীবী এবং ঢাকা জেলা বার এসোসিয়েশনের সদস্য। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর নেদারল্যান্ডসের লিডেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ও ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ে স্পেশালাইজড মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিজিটাল প্রেক্ষাপটে সামাজিক উদ্ভাবন (SIDC) নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা এবং কাঠমান্ডু স্কুল অফ ল থেকে "অর্থনৈতিক, সামাজিক ও উন্নয়নমূলক অধিকার (ESDR)" বিষয়ে ডিপ্লোমা অর্জন করেছেন।
সাইমুম রেজার গবেষণার ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে বিগ ডাটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, তথ্য গোপনীয়তা, অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ডিজিটাল অধিকার এবং নেট নিরপেক্ষতা। তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা কার্যক্রমে জড়িত, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
১. হানাহ আরেণ্ড্ট সেন্টার ফর পলিটিকস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ কর্তৃক পরিচালিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কর্মী গোষ্ঠীর সদস্য, যা ওপেন সোসাইটি ইউনিভার্সিটি নেটওয়ার্ক (OSUN)-এর আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে। এই গোষ্ঠীটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মানবতাবাদের মধ্যে সম্পর্ক অনুসন্ধান করে।
২. বাংলাদেশ ইন্টারনেট স্বাধীনতা কর্মী গোষ্ঠীর সদস্য, যা একটি অসংখ্য বেসরকারী সংগঠন (NGO) এবং আন্তর্জাতিক বেসরকারী সংগঠন (INGO) এর একটি মিলিত উদ্যোগ। এই গোষ্ঠীটি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অনলাইন মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং তথ্য অ্যাক্সেসকে সমর্থন করার লক্ষ্যে কাজ করে।
৩. ‘সাইবার সিকিউরিটি, সোশ্যাল মিডিয়া এবং তথ্য নিয়ন্ত্রণ: দক্ষিণ এশিয়ার উপ-আঞ্চলিক প্রবণতা উন্মোচন’ শীর্ষক গবেষণার প্রধান গবেষক। এই গবেষণা দক্ষিণ এশিয়ার (বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলঙ্কা) সাইবার সিকিউরিটির উপর গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে, যা জার্মানির একটি রাজনৈতিক ফাউন্ডেশন, কনরাড-এডেনওয়ার স্টিফটুং (KAS)-এর অর্থায়নে সম্পন্ন হচ্ছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি দিল্লি এবং LIRNE এশিয়া যথাক্রমে বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলঙ্কায় এই গবেষণা পরিচালনা করছে।
তিনি বেশ কিছু বইয়ের অধ্যায় লিখেছেন এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। তার গবেষণা ও প্রকাশনাগুলো আইন ও প্রযুক্তি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।