বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন: গণতন্ত্রের প্রতীক ও স্থাপত্যের নিদর্শন
জাতীয় সংসদ ভবন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ প্রতীক। ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এই ভবনটি বিশ্বমানের স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন হিসেবে পরিচিত। ১৯৬১ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ১৯৮২ সালে সম্পন্ন হয়। বিখ্যাত মার্কিন স্থপতি লুই আই কানের নকশায় নির্মিত এই ভবনটি ৯টি পৃথক ব্লক নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে কেন্দ্রীয় অষ্টভুজাকৃতির ব্লকটির উচ্চতা ১৫৫ ফুট।
ঐতিহাসিক তথ্য:
- ১৯৬১: জাতীয় সংসদ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু।
- ১৯৮২: নির্মাণ কাজ সম্পন্ন এবং উদ্বোধন।
- ১৯৮২ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি: দ্বিতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশন ভবনে অনুষ্ঠিত।
ভবনের বৈশিষ্ট্য:
জাতীয় সংসদ ভবন কমপ্লেক্স ২০০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। এতে মূল ভবনের পাশাপাশি বাগান, কৃত্রিম হ্রদ এবং সংসদ সদস্যদের আবাসিক সুবিধা রয়েছে। মূল ভবনটি তিনটি প্লাজায় বিভক্ত: মূল প্লাজা, দক্ষিণ প্লাজা ও উত্তর প্লাজা। ভবনটির নকশায় স্থানের সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
সংসদীয় কার্যক্রম:
জাতীয় সংসদ ভবনে বাংলাদেশের সকল সংসদীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এখানে প্রধানমন্ত্রীসহ সংসদ সদস্যদের অফিস, ৩৫৪ জন সদস্যের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন অধিবেশন কক্ষ, বিভিন্ন কমিটির রুম এবং গ্যালারি রয়েছে।
প্রবেশাধিকার:
জাতীয় সংসদ ভবনটি জনসাধারণের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে পরিদর্শনযোগ্য। বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে এবং বিদেশী নাগরিকদের জন্য নির্দিষ্ট ফি প্রদান করে ভবন পরিদর্শন করা যায়।
স্থাপত্যিক গুরুত্ব:
জাতীয় সংসদ ভবনকে পৃথিবীর অন্যতম শিল্পকর্ম বলে মনে করা হয়। এটি আগা খান অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে।
অন্যান্য তথ্য:
আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করে এই নিবন্ধটি সম্পূর্ণ করব এবং আপনাদের কাছে তা নিয়মিতভাবে আপডেট করে দেব।