সমাজ সচেতনতা একটি বহুল ব্যবহৃত শব্দ যার অর্থ সমাজের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এটি ব্যক্তি, সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের একটি সমষ্টিগত প্রচেষ্টা যা সমাজের উন্নয়ন এবং নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে। এই প্রচেষ্টার মধ্যে থাকতে পারে সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, জনসাধারণের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও মানবাধিকার সংরক্ষণে কার্যক্রম পরিচালনা এবং দেশের উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন।
সমাজ সচেতনতার ক্ষেত্রে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, সরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় প্রভৃতি, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, সুশীল সমাজের বিভিন্ন সংগঠন, এনজিও, এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রভৃতি। এছাড়াও অনেক ব্যক্তি ও কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও সমাজ সচেতনতায় তাদের অবদান রেখে থাকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' এর ধারণা, 'স্মার্ট বাংলাদেশ' এর লক্ষ্য, 'সোনার বাংলা' গঠনের স্বপ্ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী মানুষের জীবনমান উন্নত করতে, সামাজিক বৈষম্য দূর করতে এবং সার্বিক উন্নয়নে অবদান রেখেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের মতো বৃহৎ প্রকল্প ও এর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
সমাজ সচেতনতা বৃদ্ধিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (ICT) ভূমিকাও অপরিসীম। ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন, এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে সহজেই তথ্য প্রচার করা যায় এবং জনসাধারণকে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করা যায়। তবে, সচেতনতার সাথে সাথে জনসাধারণকে সঠিক তথ্য প্রদান করা এবং ভুল তথ্য থেকে তাদের রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সামাজিক সচেতনতার মূল উদ্দেশ্য হলো একটি উন্নত, সুন্দর, এবং ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠন করা। এই লক্ষ্য অর্জনে সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সুশীল সমাজ এবং সাধারণ মানুষ সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ আবশ্যক।