যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সজীব হোসেনের নিখোঁজ ও উদ্ধারের ঘটনা
গত ৭ জানুয়ারি, ২০২৫ সালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সজীব হোসেন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিখোঁজের প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির বাগডাঙ্গা এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানায়, সজীব হোসেন ব্যক্তিগত কারণে তার এক বন্ধুর বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার যুগ্ম-আহবায়ক ছিলেন, পরবর্তীতে গত নভেম্বর মাসে পদত্যাগ করে 'বিপ্লব ২৪' নামে একটি সংগঠন গঠন করেন। এছাড়া তিনি যবিপ্রবি শাখা ছাত্রদলেও যোগদান করেন।
সজীবের নিখোঁজের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে অপহরণের শিকার হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে তীব্র উৎকণ্ঠা বিরাজ করে। তবে, উদ্ধারের পর পুলিশ জানায় সজীব নিজেই আত্মগোপনে ছিলেন। উদ্ধারের পর সজীবকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাঁর বন্ধুরা অবশ্য অভিযোগ করেন,সজীব ভাইরাল হওয়ার জন্যই এ নাটক সাজিয়েছিলেন।
ঘটনাটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কিছু শিক্ষার্থী এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন, আবার কেউ কেউ সজীবের আচরণকে নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন। এই ঘটনায় সজীবের উদ্দেশ্য এবং এর পেছনে থাকা প্রভাবকদের তথ্য স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। আরও তথ্য পাওয়া গেলে আমরা আপনাদের জানাবো।