বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা: গ্রেপ্তার ও মামলার বিস্তারিত
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা সম্প্রতি রাজশাহী থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১১টি মামলার আসামি। রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ লক্ষ্মীপুর মোড়সংলগ্ন মেডিপ্যাথ হাসপাতালের পেছনের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তাকে বগুড়ায় আনা হয় এবং পরবর্তীতে আদালতে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে ছয়টি হত্যা মামলাসহ ভাঙচুর, বিস্ফোরক সংশ্লিষ্ট ১১ টি মামলা রয়েছে।
২০২২ সালের ৭ই নভেম্বর তাকে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিযুক্ত করা হয়। ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সদর থানা, সদর ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় পুলিশের গুলিতে আন্দোলনকারীদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে এবং এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তার নামে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
সজীব সাহা সদর উপজেলার মানিকচক গ্রামের মুকুল সাহার ছেলে। তার বাবার পেশা সম্পর্কে এবং সজীব সাহার বয়স, জাতি, সম্প্রদায় সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত অপ্রতুল। এই তথ্য সম্পর্কে যদি পরবর্তীতে তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে আমরা আপনাদের অবহিত করব। আবু রুহানী হত্যার মামলায়ও সজীব সাহার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এই মামলায় তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের ছাত্র আবু রুহানী হত্যা মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম তাসকিনুর রহমান এ আদেশ দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই জিয়াউর রহমান আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পুলিশ ও মামলা সূত্র জানায়, বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা সদরের মানিকচক হিন্দুপাড়ার ডা. মুকুল সাহার ছেলে। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ও আগে তার বিরুদ্ধে ছয়টি হত্যাসহ ১১টি মামলা হয়। এরপর তিনি বগুড়া থেকে পালিয়ে যান। গত ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি দুপুরে বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি এলাকায় সরকারি আজিজুল হক কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু রুহানী খুন হন। এ ব্যাপারে সদর থানায় হত্যা মামলা হয়। পরে মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রুহানী হত্যা মামলায় রাজশাহী মহানগর ডিবি পুলিশ গত ৬ অক্টোবর রাতে লক্ষ্মীপুর এলাকার আত্মীয় বাড়ি থেকে সজীব সাহাকে গ্রেফতার করে। পরদিন বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়। এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কটূক্তির প্রতিবাদে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে লক্ষ্য করে জুতা ও ডিম নিক্ষেপ করেন।