সচিবালয় ভবন

আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:২৬ এএম

বাংলাদেশ সচিবালয় বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু। ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত এই সচিবালয় ভবনটিতে বাংলাদেশ সরকারের সকল নির্বাহী বিভাগের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ১৯৪৭ সালে নির্মিত, এটি ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের সচিবালয় হিসেবে কাজ করেছিল।

সচিবালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের কিছু দিক:

  • ১৯৪৭: সচিবালয় ভবনের নির্মাণ।
  • ১৯৭১: পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের সচিবালয় হিসেবে কার্যক্রম শেষ।
  • ২০০৯: দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে সচিবালয়ে লবিস্টদের হস্তক্ষেপের কথা উঠে আসে।
  • ২০১৫: আইসিটি বিভাগ সচিবালয়ে বিনামূল্যে ওয়াইফাই চালু করে।
  • ২০১৭: সচিবালয়কে ধূমপানমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
  • ২০১৯: সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনে আগুন লাগে।
  • ২০২০: করোনা মহামারীর কারণে সচিবালয়ে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়।
  • ২০২১: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটক করা হয়।

সরকার বহু বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিকটবর্তী শের-ই-বাংলা নগরে একটি নতুন সচিবালয় নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। নতুন ভবনটি জাতীয় সংসদ ভবনের নকশার অনুরূপ হবে বলে পরিকল্পনা রয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান ভবনের বিকল্প প্রস্তাবের জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছিলেন। নতুন সচিবালয় ১৪ তলা ফাউন্ডেশনের উপর চারটি ৯ তলা ভবন নিয়ে ৩২ একর জমির উপর নির্মিত হবে বলে পরিকল্পনা ছিল, যদিও বর্তমানে রমনা থেকে সচিবালয় সরানোর পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।

সচিবালয় ভবনে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে, যেমন আগুন লাগা, লবিস্টদের হস্তক্ষেপ, ওয়াইফাই চালু, এবং সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ঘটনা। এই ঘটনাগুলো সচিবালয়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। সচিবালয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে নতুন সচিবালয় নির্মাণের কথা থাকলেও তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক কেন্দ্র
  • ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত
  • ১৯৪৭ সালে নির্মিত
  • সকল নির্বাহী বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা
  • নতুন সচিবালয় নির্মাণের পরিকল্পনা

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - সচিবালয় ভবন

সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।