সচিবালয়ের আগুন

২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী সোহানুর রহমান নয়ন ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হন এবং আরও কয়েকজন আহত হন।

সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ অবস্থিত ছিল। আগুনের ফলে এই মন্ত্রণালয়গুলির অফিস কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয় এবং অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আগুন লাগার পরপরই সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং পুলিশ নিয়োজিত হয় ঘটনাস্থলে। সচিবালয়ের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয় এবং জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার তদন্তের জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। আগুনের সূত্রপাত ৬ষ্ঠ তলায় হয়েছিল এবং দ্রুত ৭ম ও ৮ম তলায় ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনও অজানা রয়েছে, তবে তদন্তের মাধ্যমে তা খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুন
  • ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী নিহত
  • ৬ ঘণ্টা ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা
  • ৭ নম্বর ভবন ক্ষতিগ্রস্ত
  • গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের ক্ষতির আশঙ্কা
  • তদন্ত কমিটি গঠন

গণমাধ্যমে - সচিবালয়ের আগুন

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

সচিবালয়ে আগুন লেগেছে, এতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের ক্ষতি হয়েছে।

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

সচিবালয়ে আগুন লেগেছে এবং সারজিস আলম একে ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন।

ঢাকা সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস কর্মী মো. সোহানুর জামান নয়ন ট্রাকচাপায় মারা গেছেন।