শৈশবের অভিজ্ঞতা: নানা রূপে, নানা স্মৃতি
জীবনের সবচেয়ে মধুর ও স্মরণীয় সময় হলো শৈশব। এই সময়টিকে ঘিরে নানা মানুষের নানা অভিজ্ঞতা, নানা স্মৃতি। কেউ কেউ শৈশবের স্মৃতি মনে রেখে আনন্দে মাতেন, কেউবা আবার বিষণ্ণ হয়ে পড়েন। শৈশবকালের অভিজ্ঞতা মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।
প্রথম অভিজ্ঞতা: লেখকের শৈশবের প্রথম চার বছরের ঘটনা তেমন মনে নেই। তবে দাদীমা-র প্রতি অসীম ভালোবাসা, প্রতিরাতে রূপকথা ও গল্প শোনার স্মৃতি স্পষ্ট। দাদীমা-কে বর্ণনা করা হয়েছে ধার্মিক, ন্যায়নিষ্ঠ ও বিনয়ী হিসাবে।
গ্রামীণ শৈশব: লেখকের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে প্রকৃতির কোলে, সুন্দর সাজানো 'খাটরা' নামক একটি গ্রামে। বৈরাগী খালের পাড়ে অবস্থিত এই গ্রামটিতে পরিষ্কার আলো-বাতাস, ফুলের সুবাস এবং গাছের ছায়া ছিল। লেখকের শৈশবের স্মৃতিগুলোর মধ্যে আছে কাঠের পুল, তালগাছের সারি, লম্বা মেঠো পথ, বড় মাঠ, আমেনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ, ঘুড়ি উড়ানো, বৈরাগী খালের পাড়ে বসবাসকারী খেলার সাথীদের সাথে আনন্দ, ফসলের ক্ষেত, লুকোচুরি খেলা ইত্যাদি।
কৈশোরের আনন্দ: কৈশোর কেটেছে এক অপূর্ব আনন্দে ও সুমধুর কলতানে। লেখকের পরিবার, খেলার সাথী, গাঁয়ের পথঘাট এবং বৈরাগী খালই ছিল তার পুরো পৃথিবী। শৈশবের শেষদিকে শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত একটি স্কুলে ভর্তি হতে হয়। পাঠশালায় নিয়ম-কানুনের মধ্যে আবদ্ধ হতে থাকা লেখকের স্মৃতিগুলোর মধ্যে আছে বউ-বউ খেলা, মাটি ও পানি দিয়ে রান্না করা, পুতুল বিয়ে, ঘুড়ি উড়ানো, মারামারি, বন্ধুত্ব, বৈরাগী খালে সাঁতার, সরিষা ও মটরশুঁটির ক্ষেতে খেলা ইত্যাদি।
স্মৃতি ও বর্তমান: বর্তমান জীবনের ব্যস্ততার মাঝে শৈশবের স্মৃতি মনে পড়লে বেদনার সৃষ্টি হয়। অতীতের সুন্দর দিনগুলোকে মনে রেখে ভবিষ্যৎ জীবনের কথা ভাবতে হয়।
অন্যান্য শৈশবের অভিজ্ঞতা: প্রদত্ত তথ্যের বাইরে অন্যদের শৈশবের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য নেই। পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়ার পর আমরা আপনাকে আপডেট করব।