শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন: একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন নামটি বেশ কিছু বিতর্কের সাথে জড়িত। উপরোক্ত লেখা থেকে জানা যায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক। তিনি বিসিএস একাডেমি, পুলিশ স্টাফ কলেজ, আনসার একাডেমি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সেন্টার অব জেনোসাইড স্টাডিজ, ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন শিক্ষক ও অতিথি বক্তা হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে পরামর্শক হিসাবেও কাজ করেছেন। পরিবেশ সুরক্ষা ও মানবাধিকার আন্দোলনের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে। তাঁর লেখা দুটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো ‘নন্দিত শৈশব এবং বাংলাদেশের কিশোর অপরাধ ও গ্যাং কালচার’ ও ‘টেক্সটবুক অন ক্রিমিনোলজি’।
লেখায় উল্লেখিত ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ঘটনা এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ৭ মার্চ, এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব বিষয়ে তাঁর মন্তব্য অথবা ঐ সময়ের বক্তব্য সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ক্রিমিনোলজি কোর্সের শিক্ষার্থীদের মার্কিং নিয়ে বিতর্কের মধ্যে ছিলেন। এই মার্কিং-এ তিনি কিছু শিক্ষার্থীকে নেগেটিভ নম্বর দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন। এই লেখা থেকে উঠে আসে যে, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ এর পরিচালক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
সামগ্রিকভাবে, লেখা থেকে শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনকে একজন বহুমুখী ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, তবে তাঁর রাজনৈতিক মতামত অথবা জুলাই-আগস্টের ঘটনার প্রেক্ষিতে তাঁর ভূমিকা সম্পর্কে কোন স্পষ্ট তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। তার শিক্ষা, পেশাগত জীবন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ততা স্পষ্ট হলেও, তার রাজনৈতিক অথবা সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে অস্পষ্টতা রয়েছে।