শাহেদ আরমান: একজন উঠতি প্রশাসনিক কর্মকর্তা
শাহেদ আরমান, একজন মেধাবী তরুণ যিনি ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই প্রশাসন ক্যাডারে চাকরির স্বপ্ন দেখে আসা এই তরুণ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (ট্রিপল-ই) অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং একই প্রতিষ্ঠানে মাস্টার্স করছেন। তার শিক্ষাজীবন উজ্জ্বল ছিল; খাগড়াছড়ি নতুন কুঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট হাইস্কুল থেকে ২০১০ সালে এসএসসি এবং ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে ২০১২ সালে এইচএসসি পাস করেন।
তিনি খাগড়াছড়ি জেলা সদরে টিঅ্যান্ডটি গেট এলাকার বাসিন্দা মো. সাইফুল্লাহ ও আরজুমান আকতারের বড় ছেলে। তার বাবা মো. সাইফুল্লাহ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নাজির (উচ্চমান সহকারী) এবং মা আরজুমান আকতার টিঅ্যান্ডটি গেট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। শাহেদ আরমানের দুই ভাইয়ের মধ্যে একজন ঢাকা কলেজে প্রথম বর্ষে এবং অপরজন খাগড়াছড়ি নতুন কুঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট হাইস্কুলে ৫ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। প্রশাসন ক্যাডারে যোগদানের পেছনে তার মায়ের অনুপ্রেরণার কথা তিনি উল্লেখ করেছেন।
শাহেদ আরমান লক্ষ্মীপুর জেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। লক্ষ্মীপুর রায়পুরে ইউএনও বদলির প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধের সময় তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি রায়পুর উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন এবং মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারে লিপ্ত ৭ জন জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত তথ্য ছাড়া শাহেদ আরমান সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রাপ্ত হলে আমরা পরবর্তীতে আপডেট করব।