শাহবাজ আশিক

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:২৯ পিএম

শাহবাজ শরিফ: পাকিস্তানের রাজনীতির এক প্রভাবশালী নেতা

মিয়ান মুহাম্মদ শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী। তিনি ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত এবং ২০২৪ সালের মার্চ থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তিনবার পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন, যা পাঞ্জাবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মেয়াদ। তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) এর সভাপতিও ছিলেন।

১৯৫১ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর লাহোরে জন্মগ্রহণকারী শাহবাজ শরিফের পিতা মুহাম্মদ শরিফ একজন সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি ছিলেন। শরিফ পরিবার কাশ্মীর থেকে পাঞ্জাবের যাতি উমরা গ্রামে বসতি স্থাপন করেছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর তাঁরা লাহোরে চলে আসেন। শাহবাজ শরিফ লাহোরের গভর্নমেন্ট কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং পরে তাঁর পরিবারের মালিকানাধীন ইত্তেফাক গ্রুপে যোগদান করেন।

১৯৮৮ সালে তিনি প্রথমবারের মতো পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯০ ও ১৯৯৩ সালেও তিনি পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হন এবং বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সালে প্রথমবারের মতো তিনি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হন। ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর কিছুকাল তিনি সৌদি আরবে স্ব-নির্বাসনে ছিলেন এবং ২০০৭ সালে পাকিস্তানে ফিরে আসেন। ২০০৮ ও ২০১৩ সালে তিনি পুনরায় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

শাহবাজ শরিফের রাজনৈতিক জীবন উল্লেখযোগ্যভাবে তাঁর ভাই নওয়াজ শরিফের সাথে জড়িত। নওয়াজ শরিফ তিনবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শাহবাজ শরিফের দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

তবে, শাহবাজ শরিফের রাজনৈতিক জীবন বিতর্কমুক্ত নয়। তাকে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে তিনি নিজেকে অব্যাহতভাবে নির্দোষ বলে দাবি করে আসছেন।

পাকিস্তানের রাজনীতির জটিল পরিবেশে শাহবাজ শরিফের ভবিষ্যৎ ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আশা করা যায়, তিনি পাকিস্তানের উন্নয়নে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
  • তিনি তিনবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
  • তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ)-এর সভাপতি ছিলেন।
  • তার রাজনৈতিক জীবনে বিতর্কও রয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - শাহবাজ আশিক

মাদমুদুল হাসান তারিফ ও শাহবাজ আশিকের কর্মীরা ক্যাম্পাসে ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন।

৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:০০ এএম

মাদমুদুল হাসান তারিফ এবং শাহবাজ আশিক ছাত্রলীগের কর্মীরা ক্যাম্পাসে ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন।