শাহ জহুরুল হোসেন

আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ এএম

শাহ জহুরুল হোসেন নামটি দুই ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত, তাই তাদের পৃথকভাবে বর্ণনা করা প্রয়োজন।

প্রথম শাহ জহুরুল হোসেন: একজন সরকারি কর্মকর্তা। প্রদত্ত লেখা থেকে জানা যায়, তিনি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত। তিনি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, স্কুল পরিদর্শন এবং বন্যারতদের ত্রাণ সরবরাহের মতো কাজে জড়িত ছিলেন। উল্লেখ্যযোগ্য ঘটনা হলো কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজারে তার নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়, যার ফলে ৩ কোটি টাকার সরকারি জমি উদ্ধার হয়। তিনি জয়চণ্ডী ও ভূকশিমইল ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতেও পরিদর্শন করে স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রদের অনুপস্থিতির ঘটনার তদন্ত করেছিলেন।

দ্বিতীয় শাহ জহুরুল হোসেন (সার্জেন্ট জহুরুল হক): এই ব্যক্তি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৩৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী নোয়াখালীর সোনাপুরে জন্মগ্রহণ করেন এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার একজন আসামী ছিলেন। পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট হিসেবে কর্মরত অবস্থায় গ্রেফতার হন। ১৯৬৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানি সৈনিকদের গুলিতে শহীদ হন। তার শহীদত্ব ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তার স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হলের নামকরণ করা হয় 'শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল' এবং চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটির নামকরণ করা হয় 'বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক'। তিনি ২০১৮ সালে (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত একজন শাহ জহুরুল হোসেন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং স্কুল পরিদর্শন করেছেন।
  • আরেকজন শাহ জহুরুল হোসেন (সার্জেন্ট জহুরুল হক) ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের একজন শহীদ বীর যোদ্ধা।
  • সার্জেন্ট জহুরুল হক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী ছিলেন এবং পাকিস্তানি সৈনিকদের হাতে নিহত হন।
  • তিনি ২০১৮ সালে (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - শাহ জহুরুল হোসেন

শাহ জহুরুল হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বনফুল ও বেঙ্গলকে জরিমানা করেন।