শান্তিবাড়ি: নারীর জন্য একটি আশ্রয় ও উন্নয়নের প্রতিষ্ঠান
২০২২ সালের জুন মাসে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত শান্তিবাড়ি নারীদের জন্য একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। নারীর মানসিক স্বাস্থ্য, আইনি অধিকার, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সৃজনশীলতার বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি। শান্তিবাড়ি শুধুমাত্র নারীদের জন্য একটি নিরাপদ ও সহমর্মিতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে তারা তাদের সমস্যা, চিন্তা ও আবেগ শেয়ার করতে পারে, সহায়তা পেতে পারে এবং নিজেদেরকে আরও উন্নত করার জন্য কাজ করতে পারে।
শান্তিবাড়ির কার্যক্রম:
মানসিক স্বাস্থ্য সেবা: প্রশিক্ষিত মনোবিদ ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিরাময়ের জন্য কাউন্সেলিং, থেরাপি এবং বিভিন্ন কর্মশালা।
আইনি সহায়তা: প্রশিক্ষিত আইনজীবীদের দ্বারা নারীদের আইনি সমস্যার সমাধান, পারিবারিক নির্যাতন, তালাক, দেনমোহর, বাচ্চার কাস্টডি, সম্পত্তি বিষয়ক ঝামেলা, সাইবার ক্রাইম প্রভৃতি বিষয়ে সহায়তা প্রদান।
উদ্যোক্তা উন্নয়ন: নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন মেলা, প্রদর্শনী, প্রশিক্ষণ এবং বাজারজাতকরণের সহায়তা।
সাংস্কৃতিক কর্মসূচী: নারী শিল্পীদের রচনা, চিত্রকর্ম, সংগীত, নাটক ইত্যাদি প্রদর্শন ও উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের আয়োজন।
শান্তিবাড়ির উল্লেখযোগ্য কর্মসূচী:
ভালো থাকার উৎসব: নারীর সৃজনশীলতা, দক্ষতা, মানসিক স্বাস্থ্য ও আইনি অধিকার তুলে ধরার লক্ষ্যে প্রতি বছর এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শনী, আর্ট এক্সিবিশন, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মানসিক স্বাস্থ্য ও আইনি পরামর্শ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
শারদ মেলা: নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ মেলার আয়োজন, যেখানে তারা তাদের তৈরি পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করতে পারে।
শান্তিবাড়ির অবস্থান:
শান্তিবাড়ির কার্যালয় ঢাকার লালমাটিয়ায় অবস্থিত। তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাংলা একাডেমী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী প্রভৃতি স্থানেও অনুষ্ঠিত হয়।
শান্তিবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা ও উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ:
শান্তিবাড়ির সহ-প্রতিষ্ঠাতা হলেন মুনমুন শারমিন শামস্ (সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক), সুমী শাহাবুদ্দিন, কিশোয়ার জাবীন, নাহিদ শামস্, অপরাজিতা গোস্বামী ও অনির্বাণ ভৌমিক। প্রতিষ্ঠানটির সাথে যুক্ত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে রয়েছেন ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ (মনোচিকিৎসক), বিবি রাসেল (ফ্যাশন ডিজাইনার ও মডেল), তানজিকা আমিন (অভিনয়শিল্পী ও মডেল), প্রফেসর হামিদুজ্জামান (চিত্রশিল্পী), আইভী জামান (ভাস্কর), ড. মুহম্মদ ইকবাল আলী (চারুকলার শিক্ষক), রেহানা পারভীন (ক্রীড়াবিদ), আজমেরী হক বাঁধন (অভিনয়শিল্পী), ড. মনিরুল ইসলাম (অ্যাক্টিভিস্ট), দিলারা জামান (নাট্যশিল্পী), ড. জাকিয়া সুলতানা, ড. মাহমুদা পারভীন (শিক্ষিকা), ড. মাহমুদুল হক সুমন (শিক্ষক), রুনা খান (অভিনয়শিল্পী), নির্ঝর চৌধুরী (সংগীত পরিচালক), সুমাইয়া তাবাসসুম (প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর)।
শান্তিবাড়ির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
শান্তিবাড়ির বিভিন্ন সেবা আরও ব্যাপকভাবে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া এবং 'ভালো থাকার উৎসব' আরও বড় আকারে আয়োজন করা।
Tags:
শান্তিবাড়ি, নারী উন্নয়ন, মানসিক স্বাস্থ্য, আইনি সহায়তা, উদ্যোক্তা, মহিলা, ঢাকা, বাংলাদেশ।