শন উইলিয়াম টেইট (ইংরেজি: Shaun Tait; জন্ম: ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৩) একজন সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডের নেয়ার্নে জন্মগ্রহণকারী এই ডানহাতি ফাস্ট বোলার অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট, একদিনের আন্তর্জাতিক ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে খেলেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তার বোলিং স্টাইল অনেকটা সাবেক অস্ট্রেলীয় ফাস্ট বোলার জেফ থমসনের অনুরূপ।
২০০২ সালের ১৯ ডিসেম্বর অ্যাডিলেড ওভালে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। প্রথম মৌসুমেই দারুণ সাফল্য অর্জন করেন তিনি। ২০০৪-০৫ মৌসুমে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে কুইন্সল্যান্ডের ফাস্ট বোলার অ্যান্ডি বিকেলের পরিবর্তে চুক্তিবদ্ধ হন এবং ২০.১৬ গড়ে ৬৫ উইকেট নেন। ২০০৪ সালে আঘাতপ্রাপ্ত ব্রেট লি’র পরিবর্তে শ্রীলঙ্কা সফরে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত হলেও, কোন টেস্টে খেলার সুযোগ পাননি। ২০০৫ সালের অ্যাশেজ সফরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।
শন টেইটকে ‘ওয়াইল্ড থিং’ নামে ডাকা হত। বিশ্বের অন্যতম দ্রুতগতিসম্পন্ন ফাস্ট বোলার হিসেবে তাকে চিহ্নিত করা হত। নিয়মিতভাবে ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার বেগে বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি। ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ তারিখে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ১৬০.৭ কিমি/ঘ বেগে বোলিং করে রেকর্ড সৃষ্টি করেন। প্রচণ্ড গতি থাকা সত্ত্বেও, তার বোলিং অনেকাংশে ভারসাম্যহীন ছিল এবং অনেক অতিরিক্ত রান দিতেন। তবুও ব্যাটসম্যানদের আউট করার ক্ষমতা ও স্ট্রাইক রেটের জন্য দলে রাখা হত তাকে।
২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার একদিনের দলে ছিলেন তিনি। কোয়ার্টার-ফাইনালে ভারতের কাছে পরাজয়ের পর, টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে মনোনিবেশের উদ্দেশ্যে ২৮ মার্চ, ২০১১ তারিখে একদিনের আন্তর্জাতিক থেকে অবসর নেন। ২০১৭ সালে সকল ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারীতে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের বোলিং কোচের দায়িত্বে যোগদান করেন। আগস্ট ২০১৩ সালে ভারতীয় মডেল ও উদ্যোক্তা মাশুম সিংহার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
শন টেইট ২০২৪ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চিটাগাং কিংস দলের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। এই সময় তিনি বাংলাদেশের নতুন পেসার নাহিদ রানার প্রশংসা করে তার যথাযথ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন। নাহিদ রানার ১৫০ কিমি/ঘণ্টা গতির বোলিং দেখে তিনি মুগ্ধ হন।