শন কলিন উইলিয়ামস (জন্ম: ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৬) জিম্বাবুয়ের একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, যিনি দেশটির টেস্ট দলের সাবেক অধিনায়ক। তিনি মূলতঃ একজন অলরাউন্ডার হিসেবে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন। ২০০৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। ২০১৩ সালের মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে রোজোতে তার টেস্ট অভিষেক হয়।
শন উইলিয়ামসের বাবা কলিন উইলিয়ামস একজন প্রাক্তন প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটার এবং জাতীয় হকি কোচ। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি ওয়েস্টার্ন দলের হয়ে খেলেছেন, যা আগে মাতাবেলেল্যান্ড ক্রিকেট দল নামে পরিচিত ছিল। তার সর্বোচ্চ প্রথম-শ্রেণীর রান ১২৯।
২০০৪ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের হয়ে তিনি ১৫৭ রান (৩১.৪০ গড়ে) ও ৫ উইকেট নিয়ে দলের সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তিনি জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ছিলেন।
২০১৩ সালের ৫ মে বুলাওয়েতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিকে অপরাজিত ৭৮ রান করে তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন এবং দলকে ৬ উইকেটে জয় এনে দেন। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৭০ রান করেছিলেন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে আঙ্গুলে চোট পেয়ে তাকে দেশে ফিরতে হয়।
২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের ১৫ সদস্যের দলে তিনি ছিলেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ স্যাক্সটন ওভালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৭৬ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। ৭ মার্চ ২০১৫ সালে হোবার্টে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩/৭২ উইকেট নিয়ে ওডিআই ক্রিকেটে তাঁর সর্বোচ্চ উইকেট লাভ করেন।
২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বুলাওয়েতে তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি (১১৯) আসে। এটি জিম্বাবুয়ের হয়ে দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরি। ২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে ৭৫ বলে ওডিআই ক্রিকেটের সর্বদ্রুততম সেঞ্চুরি করেন। ২০২০ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক হিসেবে খেলেন, দ্বিতীয় টেস্টে ১০৭ রান করেন। ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ১৭৪ রান করে ওডিআই ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ স্কোর গড়তে সাহায্য করেন। ২০১৫ সালের এপ্রিলে তিনি চ্যান্টেল ডেক্সটারের সাথে বিয়ে করেন। ২০২৪ সালের ১২ মে, তিনি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন।