শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের অত্যাধুনিক ল্যাসিক মেশিনটি ছয় বছর ধরে বিকল রয়েছে। এতে বরিশাল বিভাগসহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় দেড় কোটি মানুষ উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মেশিনটি ২০১৩ সালের ২৯ জুন সিএমএসডি থেকে সরবরাহ করা হয়, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাবট মেডিকেল অপটিক (যুক্তরাষ্ট্রে প্রস্তুত)। মেশিনটি ২০১৬ সালের এপ্রিল, ২০১৬ সালের জুলাই এবং ২০১৯ সালে বিকল হয়েছে এবং তারপর থেকেই বিকল রয়েছে। মেশিনটি মেরামতের জন্য প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রয়োজন, পাশাপাশি প্রিমিক্স গ্যাস ও প্রিপেইড কার্ড, যা দেশে পাওয়া যায় না। মেশিনটি চালু রাখার জন্য প্রকৌশলীর প্রয়োজন। হাসপাতালের চক্ষু বিভাগ প্রধান ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ল্যাসিক মেশিনটি সচল থাকলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ চোখের উন্নত চিকিৎসা পেত। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একে এম মশিউল মুনির মন্ত্রণালয় ও সিএমএসডিতে যোগাযোগ করে হাসপাতালের সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু করেছেন। ছানি অপারেশনের ফ্যাকো মেশিনটিও জুলাই মাস থেকে বন্ধ রয়েছে।
ল্যাসিক মেশিন
মূল তথ্যাবলী:
- শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ল্যাসিক মেশিন ৬ বছর ধরে বিকল
- দেড় কোটি মানুষ উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত
- মেশিনের মূল্য ১১ কোটি ৯০ লাখ টাকা
- মেশিন মেরামতে ১ কোটি টাকা প্রয়োজন
- প্রিমিক্স গ্যাস ও প্রিপেইড কার্ড দেশে পাওয়া যায় না