লাল্টু মহম্মদ

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ এএম

লাল্টু মহম্মদ নামটি দুটি ভিন্ন ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত, যাদের জীবন ও কাজের ক্ষেত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। একজন গ্রামীণ অঞ্চলের পেশাদার ফটোগ্রাফার যিনি করোনার সময় আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছিলেন, অন্যজন একজন নিষিদ্ধ চরমপন্থী সংগঠনের সদস্য।

প্রথম লাল্টু:

এই লাল্টু মূলত একজন পেশাদার ফটোগ্রাফার। তাঁর আসল নাম সর্বজিৎ পাছাল। তিনি হাওড়ার বেলগাছিয়ার কিউ রোডে বসবাস করেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছবি তুলে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন। করোনা লকডাউনের ফলে অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি আর্থিক সংকটে পড়েছিলেন। এই কারণে তিনি মাছ বিক্রি শুরু করেন। তাঁর বয়স প্রায় ৩৫ বছর।

দ্বিতীয় লাল্টু:

এই লাল্টু আব্দুল লতিফ লাল্টু নামে পরিচিত। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির খুলনা বিভাগের সামরিক প্রধান ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি 'শ্রমজীবী গণমুক্তিফৌজ' নামক আরেকটি নিষিদ্ধ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি খুন, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ডাকাতি এবং কন্ট্রাক্ট কিলিং-এর মতো অপরাধে জড়িত ছিলেন। ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর পুলিশের হাতে আটক হন এবং ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান। তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলাসহ আরো বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তিনি কুষ্টিয়ার ইসলামী থানার দুর্বাচারা গ্রামের বাসিন্দা।

উল্লেখ্য, এই দুই লাল্টু মহম্মদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই বলে প্রাপ্ত তথ্য থেকে অনুমান করা যায়।

মূল তথ্যাবলী:

  • করোনাকালীন অর্থনৈতিক সংকটে পড়া একজন ফটোগ্রাফারের কথা
  • নিষিদ্ধ চরমপন্থী সংগঠনের সদস্য আব্দুল লতিফ লাল্টুর আটক এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপ
  • দুটি ভিন্ন ব্যক্তির একই নামের কারণে সম্ভাব্য দ্ব্যর্থতা

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - লাল্টু মহম্মদ

২৭/১২/২০২৪

তাসলিমা খাতুন হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেন

২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

তাসলিমা খাতুন হত্যা মামলায় বাদী হন।