লাভলী খাতুন নামে একাধিক ব্যক্তির কথা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে। তাই তাদের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্য বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন। নিচে বিভিন্ন লাভলী খাতুন সম্পর্কে জানা তথ্য উল্লেখ করা হলো:
প্রথম লাভলী খাতুন:
এই লাভলী খাতুন বাংলাদেশী নাগরিক নাসিয়া শেখ, যিনি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার আসল নাম নাসিয়া শেখ এবং বাবার নাম জামিল বিশ্বাস, কিন্তু সরকারী কাগজপত্রে তিনি শেখ মুস্তাফাকে বাবা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। রাশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত, মালদহ, ভারত এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
দ্বিতীয় লাভলী খাতুন:
এই লাভলী খাতুন একজন বাকপ্রতিবন্ধী ও অভিভাবকহীন নারী, যিনি ২০১০ সালে নীলফামারী থেকে উদ্ধার হয়ে রাজশাহী সেফহোমে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ২০১০ সালে তাকে রাজশাহীর বায়া সেফহোমে পাঠানো হয়। সেখানে ২০১০ সালে তার বিয়ে হয় মো. হাবিব (৪২) নামে এক ব্যক্তির সাথে। বিয়েতে রাজশাহী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের দেনমোহর ছিল ১ লাখ টাকা। বায়া সেফহোমটি পবা উপজেলা, রাজশাহীতে অবস্থিত।
তৃতীয় লাভলী খাতুন:
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের এক গৃহবধূ লাভলী খাতুন। ২০ নভেম্বর ২০২৩ সালে স্বামীর নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছেন বলে সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে। তার স্বামীর নাম আনোয়ারুল।
চতুর্থ লাভলী খাতুন:
দিনাজপুরের বিরল উপজেলা সদরের বাসিন্দা লাভলী খাতুন। তার স্বামী শরীফ আহাম্মেদ। ২০২৩ সালে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার সময় পাঁচবিবি উপজেলার কয়া সীমান্তে আটক হন।
এই তথ্যগুলি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। লাভলী খাতুন সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে, আমরা আমাদের প্রতিবেদন আপডেট করব।