লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান
লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি বাংলাদেশের একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)। ১৯৯৭ সালে শ্রীলঙ্কার বণিক ইনকর্পোরেশন লিমিটেড এবং কিছু বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীদের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক নাম ছিল 'বণিক বাংলাদেশ লিমিটেড', পরে ২০০৩ সালে নামকরণ করা হয় লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড। ২০০৩ সালে সম্পদ ব্যাংক এবং ওয়ান ব্যাংক পিএলসি এর শেয়ার ক্রয় করে।
লংকাবাংলার উল্লেখযোগ্য অবদান:
- ১৯৯৮ সালে চালু হওয়া পুরনো বণিক কার্ডের বদলে ২০০৫ সালে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স মাস্টারকার্ড চালু করে।
- ২০০৭ সালে ১০% নগদ লভ্যাংশ প্রদান করে।
- ২০১৯ সালে বাংলাদেশের আর্থিক বাজারে তারল্য সংকট থাকা সত্ত্বেও ১৪.৩৫% মুনাফা বৃদ্ধি করে।
- ইসলামিক কর্পোরেশন ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব দ্য প্রাইভেট সেক্টর থেকে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ গ্রহণ করে।
- ২০২০ সালে ১২% লভ্যাংশ ঘোষণা করে।
- ২০২২ সালে র্যাংগস লিমিটেড এবং নগদ এর সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।
- লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ, লংকাবাংলার সাবসিডিয়ারী প্রতিষ্ঠান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১৬ বছর এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১৫ বছর টানা শীর্ষ স্টক ব্রোকার ছিল।
- ২০২২ সালে ৪.৩৫ বিলিয়ন টাকা শ্রেণীবদ্ধ ঋণ ছিল।
- নরওয়ের সরকারি পেনশন তহবিল লংকাবাংলা ফাইন্যান্সে ১.৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে।
- ২০২৩ সালে ট্রাস্ট আজিয়াটা পে'র সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি:
- মোহাম্মদ এ. মঈন (চেয়ারম্যান)
- খাজা শাহরিয়ার (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক)
- মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী (পূর্বতন ব্যবস্থাপনা পরিচালক)
স্থান:
- বাংলাদেশ (মূল কার্যক্রম)
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ
অন্যান্য তথ্য যোগ করার জন্য আমরা আপনাকে পরবর্তীতে আরও তথ্য দিয়ে আপডেট করব।