রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি: সাংস্কৃতিক সচেতনতার এক অগ্রদূত
১৯৯২ সালে লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি একটি অলাভজনক চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান, যা যুক্তরাজ্যে সাংস্কৃতিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কর্মকাণ্ড হলো বার্ষিক রেইনবো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন। এই উৎসব বিভিন্ন দেশের নান্দনিক ছায়াছবি প্রদর্শনের মাধ্যমে দর্শকদের নিকট নতুন নতুন সিনেমা এবং সংস্কৃতির পরিচয় করিয়ে দেয়।
উৎসবের ইতিহাস:
২০০০ সালে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’। পরবর্তীকালে এটি 'রেইনবো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব' নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রতিবছর উৎসবের আয়োজনের মাধ্যমে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রসহ বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্রের প্রচার ও প্রসারে অবদান রাখছে। উৎসবে বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, পাকিস্তান, চীন, তাইওয়ান, কোরিয়া, আর্মেনিয়া, ফিনল্যান্ড, শ্রীলংকা, বুলগেরিয়া, গ্রীস, জার্মান, ফ্রান্স, ফিলিপাইন, সুইজারল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, লিথুনিয়া ইত্যাদি দেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়ে থাকে।
উৎসবের প্রভাব:
রেইনবো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব দর্শকদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত করে দিয়ে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে। এছাড়াও, উৎসবটি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। উৎসবের মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মাণে নারীদের অংশগ্রহণ সহায়তার জন্য ‘ওমেন ইন ফিল্ম কর্মশালা’র আয়োজনও করা হয়।
অন্যান্য কর্মকাণ্ড:
সিনেমা প্রদর্শন ছাড়াও, রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি চলচ্চিত্র সেমিনার, চলচ্চিত্র সম্পর্কিত পত্রিকা প্রকাশ, চলচ্চিত্র প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে জড়িত।
কর্মকর্তা ও সদস্য:
রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির কর্ণধার মোস্তফা কামাল। উৎসবের সাফল্যে বিভিন্ন কমিটি ও জুরিবোর্ডের সদস্যদের অবদান অপরিসীম। উৎসবের পরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখযোগ্য ।
রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশী সাংস্কৃতিক জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। তাদের কার্যকলাপ যুক্তরাজ্যে সাংস্কৃতিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।