রুমন শেখ

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৭ এএম

রুমন শেখ: একজন পিতার হত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচারের আবেদন

২০২০ সালের ৬ই নভেম্বর ফরিদপুরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের আইজুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী এলাকায় হিরু শেখ নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। তার ছেলে রুমন শেখ (২৪) এর অভিযোগ, এক ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ ১২ জন তার পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। প্রায় চার বছর পর, ২০২৪ সালের ৩১শে আগস্ট রুমন শেখ ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, হিরু শেখ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং ২০১৮ সালে বিএনপির প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। এ কারণে আসামীরা, যারা আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে স্থানীয়ভাবে ত্রাস সৃষ্টি করতেন বলে অভিযোগ, হিরু শেখকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

এজাহার অনুযায়ী, দুইজন আসামী হিরু শেখকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সিএন্ডবি ঘাট মসজিদ ও টোলঘরের ফাঁকা রাস্তায় নিয়ে নির্যাতন করে এবং হকিস্টিক ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। রুমন শেখের অভিযোগ, তার বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে গেলে আসামীরা বাধা সৃষ্টি করে এবং তাদেরও হুমকি দেয়। হিরু শেখ তিন দিন পর চিকিৎসা ছাড়াই মারা যান।

আসামীদের মধ্যে রয়েছেন জেলা সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. মেহেদী হাসান মিন্টু (৫০) এবং তার চার ভাই। এছাড়াও মামলায় আরও ৭ জন এবং ১০-১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু মামলাকে হয়রানি ও ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন। ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, মামলাটি আদালতে হয়েছে এবং থানায় এফআইআর রুজু হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে, রুমন শেখের অভিযোগের বিশদ তথ্য এবং মামলার পরবর্তী অগ্রগতি সম্পর্কে আমাদের আরও তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। আমরা আপনাকে পরবর্তী তথ্য দিয়ে আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • ফরিদপুরে এক বিএনপি সমর্থকের হত্যার অভিযোগে মামলা
  • নিহতের ছেলে রুমন শেখ মামলাটি করেছেন
  • ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১২ জনকে আসামী করা হয়েছে
  • হত্যার ঘটনা ২০২০ সালের ৬ই নভেম্বর ঘটেছিল
  • রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার জেরে হত্যার অভিযোগ

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।