রামগঙ্গা খাল নিয়ে বিস্তারিত লেখাটি দুঃখিত, আমার কাছে নেই। তবে, ঢাকার নদী ও খালের ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আমি কিছু তথ্য দিতে পারি। যতীন্দ্রমোহন রায়ের ১৯১২ সালের ‘ঢাকার ইতিহাস’ গ্রন্থে ‘রামগঙ্গা’ ও ‘নারায়ণীগঙ্গা’ নামে বুড়িগঙ্গার তীরবর্তী দুটি নদীর উল্লেখ আছে। বর্তমানে ঢাকা শহরের অধিকাংশ নদী ও খাল অপরিচিত। গবেষণা সংস্থা রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের জরিপ অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ঢাকা জেলায় ১৫টি নদী ছিল, এর মধ্যে ৫টি নদী এখন আর নেই। ঢাকাকে ঘিরে থাকা বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও টঙ্গী নদীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী ১৭টি খালও হারিয়ে গেছে। দখল ও দূষণের কারণে নদী ভরাট হয়ে শহর ও অট্টালিকা নির্মিত হয়েছে। মোগল আমলে বুড়িগঙ্গা-তুরাগ থেকে বালু নদীতে নড়াই নদী প্রবাহিত হতো, আজকের ধানমন্ডি লেক এর পশ্চিমমুখী দুই বাহু নড়াই নদীর দুই ধারা। পান্ডো ও আঁটি নদী সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া যায়। রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, পান্ডো নদী ধানমন্ডির ঈদগাহ মসজিদ থেকে মোহাম্মদপুরের কাটাশুর পর্যন্ত এবং নড়াই নদী বালু নদী থেকে কারওয়ানবাজার জামে মসজিদ পর্যন্ত ছিল। ঢাকার নদী-খাল দখলের ফলে রাজধানীর জীবনযাত্রার উপর প্রভাব পড়েছে। অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল এর মতে অপরিকল্পিত নগরায়ন ও দূষণের জন্য নদী-খাল দখল হয়েছে। বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদী রক্ষার জন্য সীমানা পিলার স্থাপন করেছে বিআইডব্লিউটিএ, কিন্তু অনেক পিলারই ভুল জায়গায় স্থাপিত হয়েছে বলে অভিযোগ।
রামগঙ্গা খাল
আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২:১২ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- ঢাকার বেশ কিছু নদী ও খাল হারিয়ে গেছে
- নদী-খাল দখল ও দূষণ রাজধানীর জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করছে
- অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং দূষণের ফলে নদী-খাল দখল হয়েছে
- বিআইডব্লিউটিএ-র সীমানা পিলার স্থাপনে অনিয়মের অভিযোগ
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - রামগঙ্গা খাল
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
রায়পুরার রামগঙ্গা খালের মাটি লুট হয়েছে।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
নরসিংদীর রায়পুরার রামগঙ্গা খালের মাটি অবৈধভাবে উত্তোলন ও বিক্রির ঘটনায় এই খালের উত্তোলিত মাটির সাথে সম্পর্কিত।