রাবেয়া খাতুন

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:৩৭ এএম

রাবেয়া খাতুন (২৭ ডিসেম্বর ১৯৩৫ - ৩ জানুয়ারি ২০২১) ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, এবং সাংবাদিক। তিনি ৫০টিরও বেশি উপন্যাস এবং ৪০০টিরও বেশি ছোটগল্প রচনা করেছেন। তার রচনায় রয়েছে প্রবন্ধ, গবেষণা, ধর্মীয় ইতিহাস এবং ভ্রমণকাহিনী। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৩), একুশে পদক (১৯৯৩) এবং স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (২০১৭) লাভ করেছেন।

তিনি ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকার বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক বাড়ি ছিল মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর গ্রামে। ১৯৪৮ সালে তিনি আরমানিটোলা বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষা পাস করেন। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে জন্ম হওয়ায়, বিদ্যালয়ের পর তার আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ হয়ে যায়। তবে তিনি নিজস্ব প্রচেষ্টায় লেখালেখি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেন।

১৯৫২ সালের ২৩ জুলাই সম্পাদক ও চিত্র পরিচালক এটিএম ফজলুল হকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তাদের চার সন্তান ছিল: ফরিদুর রেজা সাগর, কেকা ফেরদৌসী, ফরহাদুর রেজা প্রবাল এবং ফারহানা কাকলী।

রাবেয়া খাতুন বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেছেন, যেমন ‘খাওয়াতীন’, ‘সিনেমা’ এবং ‘অঙ্গনা’। তিনি বাংলা একাডেমির কাউন্সিল সদস্য, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ডের বিচারক, শিশু একাডেমির কাউন্সিল সদস্য, এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের 'নতুন কুড়ি'র বিচারক ছিলেন। তার রচিত উপন্যাস ‘মধুমতি’, ‘মেঘের পর মেঘ’ এবং ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।

২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি ঢাকার গুলশানে নিজ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। তখন তার বয়স ছিল ৮৫ বছর।

মূল তথ্যাবলী:

  • রাবেয়া খাতুন একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার ছিলেন।
  • তিনি ৫০টিরও বেশি উপন্যাস ও ৪০০টির বেশি ছোটগল্প রচনা করেছেন।
  • তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক ও স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার লাভ করেছেন।
  • তার বেশ কিছু উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।
  • তিনি ৩ জানুয়ারী ২০২১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।