রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ
২০০১ সালের ১৫ই মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের উপস্থিতিতে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার এই ইনস্টিটিউট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রাথমিক পরিকল্পনায় ১২ তলা ভবন থাকলেও পরবর্তীতে ৫ তলা নির্মাণ করা হয়। ২০১০ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউটের ভবনটি উদ্বোধন করেন।
এই ইনস্টিটিউট বিশ্বের সকল ভাষার সংরক্ষণ ও গবেষণার লক্ষ্যে কাজ করে। এখানে বিভিন্ন ভাষার উপাদান সংরক্ষণ করা হয়, বিলুপ্তপ্রায় ভাষার শ্রবণ-দর্শন উপাদান রাখা হয় এবং বিশ্বমানের পাঠাগার, ভাষা-জাদুঘর ও আর্কাইভ রয়েছে। ইনস্টিটিউট দক্ষ দোভাষী তৈরি, ভাষানীতি প্রণয়নে সরকারকে সহায়তা প্রদান এবং ভাষা সংক্রান্ত গবেষণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ:
- ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ (শিক্ষা উপদেষ্টা)
- প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম (শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী)
- সিদ্দিক জোবায়ের (সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ)
- অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান (পরিচালক, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট)
উল্লেখযোগ্য তারিখ ও ঘটনা:
- ১৯৯৯: ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান।
- ২০০০: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প সরকার কর্তৃক অনুমোদিত।
- ২০০১: ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন।
- ২০১০: ইনস্টিটিউটের ভবন উদ্বোধন।
স্থান:
- সেগুনবাগিচা, ঢাকা