রকিবুল ইসলাম: একাধিক ব্যক্তি ও ঘটনার সমন্বয়ে
প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, "রকিবুল ইসলাম" নামটি একাধিক ব্যক্তি ও ঘটনার সাথে সম্পর্কিত। এই তথ্যগুলোকে সুস্পষ্ট করার জন্য আমরা এখানে বিভিন্ন রকিবুল ইসলাম সম্পর্কে আলাদা আলাদা করে তথ্য উপস্থাপন করছি:
১. আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা:
আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দীর্ঘ দুই যুগের সভাপতি রকিবুল ইসলাম, যিনি স্থানীয়ভাবে ‘বাবুল মাস্টার’ নামে পরিচিত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যার দায়ে দুটি মামলায় তিনি যথাক্রমে ১ নম্বর ও ২১ নম্বর আসামি হলেও জামিন ছাড়াই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বিকেএসপি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের একজন সাবেক শিক্ষক। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি আওয়ামী লীগ আমলে এলাকার কল-কারখানার ঝুঁট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং নামে-বেনামে অনেক সম্পত্তি অর্জন করেছেন। বিকেএসপি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, রকিবুল ইসলাম দুই মাস আগে পদত্যাগ করেছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির জানান, হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক:
একটি পৃথক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রকিবুল ইসলাম রাকিবকে আটকের ঘটনায় ইউট্যাব নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
৩. বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক:
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহসভাপতি রকিবুল ইসলাম বকুলকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী ছিলেন।
৪. খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন:
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রকিবুল হাসানের বাবা রফিকুল ইসলাম গাজী জানান, ছেলের মৃত্যুর পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে বলে শুনেছেন, কিন্তু তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অজ্ঞ।
উল্লেখ্য, প্রদত্ত তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ হতে পারে। আমরা পরবর্তীতে আরও তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে এই লেখাটি আপডেট করব।