র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী: বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা
র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, সফল প্রশাসক, এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা। তার দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ রাজনৈতিক জীবন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন:
১৯৫৫ সালের ১লা মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিনাইর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তার পিতার নাম মোঃ আব্দুর রউফ চৌধুরী এবং মাতার নাম মোসাম্মৎ হালিমা খাতুন চৌধুরী। প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন চিনাইর ও নারায়ণগঞ্জে। তারপর মাদ্রাসা-ই-আলীয়া ঢাকা থেকে ফাজিল, ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।
ছাত্রজীবন ও মুক্তিযুদ্ধ:
ছাত্রজীবনে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ছাত্র রাজনীতির সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন। ১৯৬৯ সালে তিনি ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসেবে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর গুলিতে আহত হন।
প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক জীবন:
১৯৮৩ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে সরকারি চাকরি ত্যাগ করে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী:
২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ২০১৪ সালে, ২০২৪ সালে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই আসন থেকে নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
সম্মান ও পুরস্কার:
তার রাজনৈতিক ও সামাজিক অবদানের জন্য তিনি বহু সম্মান ও পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন।
সারসংক্ষেপ:
র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রশাসক। তার দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ রাজনৈতিক জীবন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বাংলাদেশের জনগণের জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।