যীশু খ্রিস্ট

যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন ক্রিসমাস বা বড়দিন হিসেবে পালিত হয়। খ্রিস্টানদের বিশ্বাস, ঈশ্বর মানব জাতির মুক্তির জন্য যীশুকে প্রেরণ করেছিলেন। প্রাচীন কালে মানব সমাজ পাপের অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকায়, ঈশ্বর যীশুকে এক সর্বোৎকৃষ্ট উপহার হিসেবে দান করেছিলেন। সম্রাট আগাস্টাসের লোক গণনার নির্দেশে যোসেফ ও মারিয়া দায়ুদনগরী বেথলেহেমে যান। সেখানে জন্ম হয় যীশুর। গোশালায় তাঁর জন্মের কাহিনী বাইবেলে বর্ণিত আছে। যীশু রাজা হলেও গৃহহীন অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, ন্যায় ও শান্তির জন্য রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের কাছে আকুতি জানিয়েছিলেন। যীশুর জন্মের সময় আকাশে এক বিশেষ তারার উদয় হয়। তা দেখে জ্যোতিষীগণ বেথলেহেমে যান নবজাত রাজাকে খুঁজতে। তিনজন পন্ডিত-রাজা (ম্যালচিয়র, বালথাজার ও গ্যাচপার) যীশুকে খুঁজে পান এবং উপহার দেন। হেরোদ নবজাত শিশু যীশুকে মারার চেষ্টা করলে যোসেফ ও মারিয়া মিশরে পালিয়ে যান। যীশু মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন, শান্তি ও ন্যায়বিচারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বড়দিনে গৃহহীনদের সাহায্য করা, শান্তি প্রতিষ্ঠা, শরণার্থী ও অভিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত বলে লেখায় উল্লেখ আছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন ক্রিসমাস।
  • ঈশ্বর মানবতার জন্য যীশুকে প্রেরণ করেছিলেন।
  • যীশু গোশালায় জন্মগ্রহণ করেন।
  • যীশু শান্তি ও ন্যায়বিচারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
  • তিনজন পন্ডিত-রাজা যীশুকে উপহার দিয়েছিলেন।
  • হেরোদ যীশুকে মারার চেষ্টা করেছিলেন।
  • যোসেফ ও মারিয়া মিশরে পালিয়ে যান।
  • বড়দিনে গৃহহীনদের সাহায্য করা উচিত।