যান্ত্রিক ত্রুটি: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও অন্যান্য ঘটনা
গতকাল রোববার, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ ছিল। এটি গত তিন বছরে সপ্তম এবং গত এক দশকে দ্বাদশবারের মতো ঘটনা। ডিএসই কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ত্রুটির কারণ অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির কাজ শেষ হলে, ত্রুটির কারণ এবং সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
ঘটনার বিবরণ:
- যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু করা সম্ভব হয়নি।
- ত্রুটি সারিয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় লেনদেন শুরু হয়।
- সময়ের ঘাটতি পূরণে লেনদেনের সময় বেলা ৩টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
ব্যক্তিদের মন্তব্য:
- বিনিয়োগকারী সানী মাহমুদ : বারবার যান্ত্রিক ত্রুটি যুক্তিযুক্ত নয় বলে মনে করেন এবং বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
- ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম : যান্ত্রিক ত্রুটি অত্যধিক হচ্ছে এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তার (সিটিও) পদের শূন্যতা সমস্যার একটি প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করেন।
- ডিএসইর একজন সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) : ব্যবহৃত প্রযুক্তি পুরোনো এবং পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করেন।
- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম : ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে ডিএসই কার্যকরী উদ্যোগ নেবে বলে জানান।
- ডিএসইর পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও : ওএমএস-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য গঠিত কমিটির কথা জানান এবং এমডি, সিওও, সিটিও পদে নিয়োগের কথা জানান।
প্রযুক্তিগত তথ্য:
- সেন্ট্রালাইজড অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (ওএমএস) কনফিগারেশন সমস্যার কারণে লেনদেনে বিলম্ব।
- ২০১৪ সালে চালু হওয়া অটোমেটেড ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম দীর্ঘদিন ব্যবহৃত হচ্ছে।
অতীতের ঘটনা:
- ২০২৪ সালের ১০ মার্চ ত্রুটির কারণে সূচকে অস্বাভাবিক পরিসংখ্যান দেখা যায়।
- ২০২৩ সালের আগস্টে ফ্লেক্সট্রেডে ত্রুটির কারণে শেয়ার কেনাবেচার নিষ্পত্তি পরদিন ভোরে হয়।
- ২০২২ সালের অক্টোবরে এক সপ্তাহে দুবার কারিগরি ত্রুটি ঘটে।
অন্যান্য তথ্য:
- ডিএসই'র সিটিও পদ এক বছর ধরে শূন্য রয়েছে।
উপসংহার:
এই ঘটনাটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রযুক্তিগত অবকাঠামোর দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয় এবং এর সমাধানের জন্য দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা জোরালোভাবে তুলে ধরে। আরও তথ্য পাওয়ার পরে এই নিবন্ধটি আপডেট করা হবে।