মোহাম্মদ শাহ আলম

মোহাম্মদ শাহ আলম: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এক অসাধারণ বীর

ডঃ মোহাম্মদ শাহ আলম (১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ - ৭ মে ১৯৮৫) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন অসাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে অসাধারণ সাহসিকতা ও বীরত্বের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বীর উত্তম খেতাব লাভ করেন। তার পৈতৃক বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার করমুল্লাপুর গ্রামে। তার পিতার নাম মো. আলী আহম্মদ চৌধুরী এবং মাতার নাম জমিলা খাতুন। তিনি ১৯৬৭ সালে কর্ণফুলী পেপারমিলস হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৬৯ সালে রাঙ্গুনিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ১৯৬৯-১৯৭০ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৭৫ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন।

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র থাকা অবস্থায় শাহ আলম যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তিনি ভারতে গিয়ে নৌ-কমান্ডো বাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৭৩ সালের সরকারি গেজেট অনুযায়ী, তার বীরত্বভূষণ সনদ নম্বর ৫৭। মুক্তিযুদ্ধে তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল 'অপারেশন জ্যাকপট'। এই অভিযানে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানি জাহাজ ও সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করার জন্য তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি দক্ষতার সাথে বন্দরের রিকি করে অভিযানের সফলতা নিশ্চিত করেন।

মুক্তিযুদ্ধের পর, ১৫-১০-১৯৭৬ সালে চন্দ্রঘোনা থানা হেলথ কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে চাকরি শুরু করেন। ১৯৭৮ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সার্জারি ইউনিট-১ এ এসিষ্ট্যান্ট সার্জন, এসিষ্ট্যান্ট রেজিষ্টার এবং পরবর্তীতে রেজিষ্টার পদে উন্নীত হন। ডাঃ মোহাম্মদ শাহ আলমের স্মৃতি আজও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে উজ্জ্বলভাবে স্থান পেয়েছে। তিনি তার বীরত্ব ও দেশপ্রেমের জন্য সর্বদা স্মরণীয় থাকবেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • ডঃ মোহাম্মদ শাহ আলম ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
  • তিনি বীর উত্তম খেতাব লাভ করেন।
  • 'অপারেশন জ্যাকপট' এ অসাধারণ ভূমিকা পালন করেন।
  • চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন।
  • নৌ-কমান্ডো বাহিনীতে যোগদান করেছিলেন।

গণমাধ্যমে - মোহাম্মদ শাহ আলম

সিপিবির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সমাবেশের আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন।