মোহাম্মদ জিয়াউল আলম

আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫:১৫ এএম

দুই ‘জিয়াউল আলম’ : একজন সেনা কর্মকর্তা, অপরজন সরকারি কর্মকর্তা

প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, ‘মোহাম্মদ জিয়াউল আলম’ নামটি দুই ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে। তাই দুই ব্যক্তিকে আলাদাভাবে তুলে ধরা হলো:

১. সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক (সেনা কর্মকর্তা):

সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক একজন বাংলাদেশী সাবেক সেনা কর্মকর্তা, যিনি ২০১১ সালের সেনা অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত। তাকে আল-কায়েদার সহযোগী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার হিসেবেও অভিযোগ করা হয়। তবে আদালতে এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তিনি মৌলভীবাজার জেলার মোস্তফাপুরে জন্মগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ৪১ তম দীর্ঘ কোর্সের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতেও পড়াশোনা করেন। অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। ২০১৬ সালে তার উপর ৪০ মিলিয়ন টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। পরে, মুক্তমনা লেখক, প্রকাশক ও ব্লগারদের হত্যার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার কথাও উঠে আসে। তাকে এই ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত কোন তথ্য নেই। ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারী সেনা সদর দপ্তর এক সংবাদ সম্মেলন করে তার পলাতক থাকার কথা জানায়।

২. এন এম জিয়াউল আলম (সরকারি কর্মকর্তা):

এন এম জিয়াউল আলম একজন বাংলাদেশী উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। তিনি সর্বশেষ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞানে বিএসসি (অনার্স) এবং এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি সহকারী কমিশনার হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সালে সিলেট বিভাগের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমে অবদানের জন্য তাকে 'ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড' জাতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়। ২০১৩ সালে তিনি জনপ্রশাসন পদকে ভূষিত হন।

মূল তথ্যাবলী:

  • সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক: ২০১১ সালের অভ্যুত্থানের চেষ্টা ও জঙ্গি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ
  • এন এম জিয়াউল আলম: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব, বিভিন্ন সরকারি দায়িত্ব পালন
  • সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ আদালতে প্রমাণিত হয়নি
  • এন এম জিয়াউল আলম: 'ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড' জাতীয় পুরষ্কার ও জনপ্রশাসন পদক লাভ

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মোহাম্মদ জিয়াউল আলম

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

মাইলস্টোন কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।