মোহাম্মদ আজিজ খান, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান, সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) কর্তৃক পরিচালিত তদন্তের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। সিআইসি অভিযোগ করেছে যে, সামিট গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠান, সামিট পাওয়ার লিমিটেড এবং সামিট কর্পোরেশন লিমিটেড, লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে ১১১২ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে। তদন্তের শুরুতে ২০ আগস্ট, মোহাম্মদ আজিজ খান ও তার পরিবারের সদস্যদের লেনদেনের তথ্য পরীক্ষা করা হয়। এনবিআরের কর অঞ্চল-২ এর কর কমিশনার ব্যারিস্টার মুস্তাসিম বিল্লাহ ফারুকী জানিয়েছেন, সামিট গ্রুপ কিছু বিশেষ সুবিধা ভোগ করছিল, যা যথাযথভাবে নথিবদ্ধ ছিল না। তদন্তে উঠে এসেছে, আগের প্রশাসন সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল এবং সামিট কর্পোরেশনকে লভ্যাংশ স্থানান্তরের উৎস কর থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল, যা এনবিআর পর্যালোচনার পর প্রত্যাহার করেছে। সামিট গ্রুপের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে তারা কখনো কর ফাঁকি দেয়নি এবং নোটিশ পেলে আইন মেনে চলবে। তবে, এনবিআরের তদন্তের ফলে সামিট পাওয়ার লিমিটেড থেকে সামিট কর্পোরেশন লিমিটেডকে লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে ২০% এবং সামিট কর্পোরেশন থেকে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালকে ১৫% উৎস কর প্রযোজ্য হবে। তদন্তের ফলে প্রকাশিত হয়েছে যে, মোট ১১১২ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগের বিষয়টি “হিমশৈলের চূড়ামাত্র” হতে পারে এবং এই গ্রুপের অধীন অন্যান্য কোম্পানির অনিয়ম থাকতে পারে। এছাড়াও, আজিজ খান ও তার পরিবারের সদস্যদের আর্থিক লেনদেন নিয়ে দেশের একাধিক সংস্থার তদন্ত চলমান রয়েছে। সামিট গ্রুপ জানিয়েছে যে, বাংলাদেশে তাদের ৯২% বিদ্যুৎকেন্দ্র বর্তমানে সচল রয়েছে।
মোহাম্মদ আজিজ খান
মূল তথ্যাবলী:
- সামিট গ্রুপের ১১১২ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ
- মোহাম্মদ আজিজ খান ও পরিবারের লেনদেন তদন্তের আওতায়
- এনবিআর কর অব্যাহতি প্রত্যাহার
- সামিট গ্রুপের ৯২% বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল
- তদন্তে আরও দুর্নীতির আশঙ্কা