আনন্দমোহন কলেজ: বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
আনন্দমোহন কলেজ ময়মনসিংহ শহরের একটি বিখ্যাত কলেজ। এই কলেজের ইতিহাস বেশ দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ। উপমহাদেশের প্রথম র্যাংলার ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আনন্দমোহন বসু (১৮৪৭-১৯০৬) ১৮৯০ সালে ময়মনসিংহে ‘ময়মনসিংহ ইনস্টিটিউশন’ নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে ‘ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট স্কুল’ নামে পরিচিতি পায়। ১৯০১ সালে এটি ‘ময়মনসিংহ সিটি কলেজ’ নামে দ্বিতীয় গ্রেডের কলেজে রূপান্তরিত হয় এবং কলকাতা সিটি কলেজের সাথে সংযুক্ত হয়। আনন্দমোহন বসুর মৃত্যুর পর ১৯০৮ সালে কলকাতা সিটি কলেজ থেকে বিযুক্ত হয়ে এর নাম পরিবর্তন করে ‘ময়মনসিংহ কলেজ’ রাখা হয় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পুনরায় লাভ করে। ১৯০৮ সালের শেষ দিকে কলেজটি কাঁচিঝুলিতে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হয় এবং আনন্দমোহন বসুর নামানুসারে ‘আনন্দমোহন কলেজ’ নামকরণ করা হয়।
১৯৪৭ সালে কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয় এবং ১৯৬৩ সালে সরকারি কলেজে রূপান্তরিত হয়। পরবর্তীতে কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। বর্তমানে এখানে ১৮টি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু আছে। কলেজ ক্যাম্পাস ১৫.২৮ একর জুড়ে বিস্তৃত, যেখানে অধ্যক্ষ ভবন, শিক্ষকদের আবাস, ছাত্রাবাস, গ্রন্থাগার, খেলার মাঠ ইত্যাদি সুবিধা রয়েছে। আনন্দমোহন কলেজে অসংখ্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ব্যক্তি শিক্ষকতা করেছেন এবং অনেক গুণী ব্যক্তি এখান থেকে শিক্ষা লাভ করেছেন।