ঢাকার কামরাঙ্গীরচর

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:০০ এএম

ঢাকার কামরাঙ্গীরচর: ঐতিহ্য, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ

পুরান ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কামরাঙ্গীরচর বাংলাদেশের রাজধানীর একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা। ২৩°৪২′৫৫″ উত্তর ৯০°২২′২৫″ পূর্ব অক্ষাংশে অবস্থিত এই থানার আয়তন প্রায় ২.৮৭ কিমি²। এই থানাটির নামকরণের পেছনে বিভিন্ন জনশ্রুতি প্রচলিত আছে। কেউ কেউ বলেন, কামরাঙ্গী নামের এক সুন্দরীর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছিল। অন্যদিকে, কিছু ঐতিহাসিকের মতে কামরাঙ্গা মরিচের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে। তবে এসব কাহিনীকে রটনা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অনেকে।

জনসংখ্যা ও বসতি:

২০০১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী, কামরাঙ্গীরচর থানার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১,৪৩,২০৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ও মহিলার সংখ্যা যথাক্রমে ৭৬,৩২৫ ও ৬৬,৮৮৩ জন। ২০০৬ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রায় ৩ লক্ষ অধিবাসীর মধ্যে প্রায় ২ লক্ষ ৬৫ হাজার বস্তিতে বসবাস করে। কামরাঙ্গীরচর ঢাকা মহানগরীর মধ্যে বস্তির বৃহত্তম কেন্দ্র।

ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক তথ্য:

১৯৯১ সালের আগে কামরাঙ্গীরচর ছিল ঢাকার মূল ভূখণ্ড থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। ১৯৯১ সালে 'হাক্কুল এবাদ লোহার ব্রিজ' নির্মাণের মাধ্যমে লালবাগের সাথে যুক্ত হয়। ১৯৯৮ সালে লালবাগ থানার কিছু অংশ নিয়ে কামরাঙ্গীরচর থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের পর অনেকে আশ্রয়ের জন্য কামরাঙ্গীরচরে আসে এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানা গড়ে তোলে।

অর্থনীতি ও উন্নয়ন:

কামরাঙ্গীরচরের অর্থনীতি প্রধানত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, ব্যবসা, এবং শ্রমিক জনগোষ্ঠীর উপর নির্ভরশীল। ২০২২ সালের মধ্যে ক্রমবর্ধমান হারে উন্নত হয়েছে কামরাঙ্গীরচর। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে আদি বুড়িগঙ্গা পুনঃখনন, নতুন সেতু নির্মাণ, আবাসন নির্মাণ এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এই পরিকল্পনা নিয়ে বিতর্কও রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য স্থান:

হাক্কুল এবাদ লোহার ব্রিজ, বুড়িগঙ্গা নদী, ছাতা মসজিদ, নূরিয়া মাদরাসা, বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানা।

আমরা যখন আরও তথ্য পেয়ে যাবো তখন এই নিবন্ধটি আরও সমৃদ্ধ করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • কামরাঙ্গীরচর ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা
  • নামকরণের পেছনে জনশ্রুতি ও ঐতিহাসিক মতভেদ রয়েছে
  • জনসংখ্যা ঘনবসতিপূর্ণ এবং বস্তিবাসীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য
  • ১৯৯১ সালে লালবাগের সাথে যুক্ত হয়
  • আধুনিক ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।