মোজো

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

মোজো: বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতির একটি কোমল পানীয়

২০০৬ সালে আকিজ গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড (এএফবিএল) কর্তৃক উদ্ভাবিত মোজো, দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এটি কেবলমাত্র বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের ৪৭টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। মালয়েশিয়া, ইয়েমেন, সিঙ্গাপুর, ভুটান, ওমান, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত মোজোর প্রধান রপ্তানি গন্তব্য।

২০২৩ সালে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের সময়, মোজো ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে এবং তাদের সাহায্যের জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়। এই উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশে মোজোর জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। কোকাকোলাসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক কোমল পানীয়ের বয়কটের মধ্যে মোজো দেশীয় বাজারে অনন্য সাফল্য অর্জন করে। আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান শেখ শামীম উদ্দিন ২০২৪ সালের ২ জানুয়ারী ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের কাছে ৫০ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। এছাড়াও, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী (ডব্লিউএফপি), আকিজ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এবং মোজো গাজায় ৬ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ফিলিস্তিন দূতাবাসে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেছে।

প্রতি বছর বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে মোজো তার জন্মদিন পালন করে। ২০২৩ সালে তারা আকিজ হাউসে ১৭তম জন্মদিন উদযাপন করে। মোজো কেবলমাত্র একটি কোমল পানীয় নয়; এটি বাংলাদেশের একটি সাফল্যের গল্প এবং মানবতার প্রতি সমর্থনের প্রতীক।

মূল তথ্যাবলী:

  • মোজো ২০০৬ সালে আকিজ গ্রুপ কর্তৃক উদ্ভাবিত হয়।
  • এটি ৪৭টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হয়।
  • ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনের কারণে মোজোর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।
  • মোজো ফিলিস্তিনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
  • প্রতি বছর বাংলা নববর্ষে মোজোর জন্মদিন পালিত হয়।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মোজো

মোজো প্যালেস্টাইনের মানুষের জন্য মানবিক ক্যাম্পেইন শুরু করে।