জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সরোয়ার হোসেনকে ঘিরে বিতর্কের আগুন জ্বলে উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, যার মধ্যে রয়েছে এসোসিয়েট মেম্বার অফ ইন্সটিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স (এএমআইই) ডিগ্রি সম্পন্ন করার পূর্বেই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি নেওয়া। বাংলাদেশ গেজেট অনুযায়ী, এই পদে পদোন্নতির জন্য এএমআইই ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক। মো. সরোয়ার হোসেন পদোন্নতির পরে এই ডিগ্রি অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ।
তিনি নিজে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বক্তব্য, তিনি ১৯৮৮ সালে এএমআইই ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং ১৯৮৯ সালে চাকরিতে যোগদান করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়া ফাইল এবং বিভিন্ন প্রতিবেদনের উল্লেখ করে এই পদোন্নতি প্রক্রিয়াকে 'ছেলেখেলা' নয় বলে উল্লেখ করেছেন।
অভিযোগ উঠেছে যে, প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্বে যোগদানের পর থেকে তিনি অধিদফতরের অধিকাংশ কাজ তার পছন্দের তিনজন ঠিকাদারকে দিচ্ছেন এবং ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হচ্ছেন। এছাড়াও, বিতর্কিত নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল ইসলাম সুমনকে বিশেষ দায়িত্বে নিয়োগের অভিযোগও উঠেছে।
'হরিলুট প্রকল্প' খ্যাত পিইডিপি-৩ প্রকল্পের ঠিকাদারদের কাজের সময়সীমা বৃদ্ধি ও প্রকল্পের ফোকাল পয়েন্টে একজন কর্মকর্তাকে ছয়টি দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টিও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই বিষয়ে প্রকৌশলী মীর আব্দুস সাহিদ-এর মতামত জানা যায়নি।
স্থানীয় সরকার সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম জানিয়েছেন, অনিয়ম-দূর্নীতির সাথে যারা জড়িত থাকবেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধান প্রকৌশলী মো. সরোয়ার হোসেন সতর্ক করে বলেছেন, যে-ই করেন, ভালো করে জেনেশুনে করতে হবে।
উল্লেখ্য, মো. সরোয়ার হোসেন ২০২২ সালের ১ জানুয়ারী প্রধান প্রকৌশলীর (চলতি দায়িত্ব) দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার পূর্বে তিনি সহকারী প্রকৌশলী থেকে ধাপে ধাপে উন্নীত হয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী হয়েছিলেন। প্রকৌশলী সাইফুর রহমান অবসর গ্রহণ করার পর তিনি এই দায়িত্ব পেয়েছেন।