চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন ডা. মো. শাহাদাত হোসেন। ২০২১ সালের চসিক নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হলেও, তিনি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আইনি লড়াই শুরু করেন। এই লড়াইয়ের ফলশ্রুতিতে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে তিনি আদালতের রায়ের মাধ্যমে চসিকের মেয়র হিসেবে ঘোষিত হন। তারপর ২০২৪ সালের নভেম্বরে তিনি চসিকের মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোট পেয়েছিলেন। তবে, নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে তাঁর আপত্তি এবং কারচুপির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আদালতে মামলা করেন। এই মামলায় বিচারক খাইরুল আমিন তদন্ত করে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর আদালতের রায়ে তাকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
আদালতের এই রায় চট্টগ্রামের রাজনীতিতে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। এই রায়ের পর নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে ডা. শাহাদাত হোসেনকে চসিকের নতুন মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে।
ডা. শাহাদাত হোসেনের মেয়র পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে তার ভূমিকা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তার শাসনকালে নগরের জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর করার, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জনগণের সেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে, তার মেয়াদ কতদিন চলবে সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট না। তবে, তাঁর কর্মকান্ড চট্টগ্রামের জনগণের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠেছে।