সীমান্তে গুলিবিদ্ধ কিশোর মো. মারুফ মিয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু
গত বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে অনুপ্রবেশ করার সময় ভারতীয় এক খাসিয়া নাগরিকের গুলিতে মারা গেছে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর, মো. মারুফ মিয়া।
ঘটনার বিবরণ:
মো. মারুফ মিয়া জৈন্তাপুর উপজেলার ২ নম্বর জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ঝিংগাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মো. শাহাবুদ্দীনের ছেলে ছিলেন। দুপুরে মারুফসহ আরও কয়েকজন বাংলাদেশি ঝিংগাবাড়ি সীমান্তের পিলার ১২৮২/৭-এস থেকে প্রায় ৬০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। তারা খাসিয়াদের সুপারি বাগানে প্রবেশ করলে একপর্যায়ে খাসিয়াদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাধে। ওই সময় এক খাসিয়া নাগরিক একনলা বন্দুক দিয়ে মারুফকে লক্ষ্য করে গুলি করে। মারুফের সঙ্গীরা তাকে আহত অবস্থায় দ্রুত বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনেন এবং সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিজিবি'র পদক্ষেপ:
ঘটনার পরপরই সীমান্তের নিকটবর্তী পিলার ১২৮৫ এলাকায় বিজিবির টহলদল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মিনাটিলা বিওপি থেকে ভারতীয় বিএসএফ রংটিলা বিওপিকে প্রতিবাদ জানানো হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবি ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। সিলেট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান ভারতীয় ৪ বিএসএফের কমান্ড্যান্টের সঙ্গে আলোচনা করে অপরাধীর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন।
মারুফের পরিবারের দুঃখ:
মারুফের মৃত্যুতে তার পরিবারের অসহায়ত্ব ও দুঃখের কথা বলা বাহুল্য। এমন অকাল মৃত্যুতে পরিবারের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঢেকে গেছে।
সীমান্ত নিরাপত্তা:
এই ঘটনা সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।