মো. ফজলে রব

মো. ফজলে রাব্বী মিয়া (১৫ এপ্রিল ১৯৪৬ - ২২ জুলাই ২০২২) বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন এবং জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার জন্ম ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধার সাঘাটার গটিয়া গ্রামে। পিতার নাম ফয়জার রহমান এবং মাতার নাম হামিদুন নেছা। ১৯৬১ সালে তিনি গাইবান্ধা কলেজে ভর্তি হন এবং বিএ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করার পর রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬৮ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সনদ লাভ করেন এবং গাইবান্ধা বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সদস্যও হন। ১৯৫৮ সাল থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন ফজলে রাব্বী। আইয়ুব খানের মার্শাল ল’ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এবং ১৯৬২-৬৩ সালে শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। তিনি গাইবান্ধা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কলেজ ছাত্র সংসদের জি.এস. ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং ১১ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯১, এবং ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পঞ্চম ও সপ্তম সংসদে বিরোধীদলীয় হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম সংসদে তিনি বিভিন্ন কমিটির সভাপতি ও সদস্য ছিলেন। দশম সংসদ থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। তিনি একাদশ সংসদেও বিভিন্ন কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেন। ফজলে রাব্বী মিয়ার স্ত্রী আনোয়ারা রাব্বী (মৃত) এবং দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। ২০২১ সালে তাকে পেটে টিউমারের অপারেশন করা হয় এবং পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হয়। ২০২২ সালের ২২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।