মো. আসাদুজ্জামান জামাল নামটি দুইজন ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে, যাদের মধ্যে পার্থক্য করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম আসাদুজ্জামান জামাল ময়মনসিংহের একজন আলোচিত ব্যক্তি, যিনি ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি বালু ব্যবসা এবং জুয়া খেলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বহুবার গ্রেফতার হয়েছেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি র্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। সাম্প্রতিককালে, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, তাকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে জুয়া খেলার সময় গ্রেফতার করা হয়।
দ্বিতীয় আসাদুজ্জামান জামাল একজন বিশিষ্ট আইনজীবী, যিনি ২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ছিলেন এবং বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিশিষ্ট আইনজীবী সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের জুনিয়র ছিলেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সরকারের পক্ষে কাজ করেছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর তিনি আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছিলেন।
এই দুই ব্যক্তিকে পার্থক্য করার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী 'ময়মনসিংহের আসাদুজ্জামান জামাল' এবং 'অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান জামাল' এই পরিচয়সূচক নাম ব্যবহার করা যেতে পারে।