ডঃ শেখ আব্দুর রশিদ: একজন মেধাবী প্রশাসকের অসাধারণ জীবনযাত্রা
ডঃ শেখ আব্দুর রশিদ বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট প্রশাসক, যিনি তার দীর্ঘ ও সম্মানিত কর্মজীবনে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন। ১৯৫৭ সালের ৫ই মে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণকারী রশিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি SSC এবং HSC পরীক্ষায় মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন।
বিসিএস ১৯৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম স্থান অর্জনকারী রশিদ প্রশাসনিক ক্ষেত্রের একজন অত্যন্ত মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, যেমন: বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ইউএনও, ফেনী জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইল জেলার জেলা প্রশাসক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ও মহাপরিচালক। তিনি পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমি ও লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অনুষদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও, তিনি জননিরাপত্তা বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা বিভাগের উপসচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবং জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ওএসডি করে রাখা হয়। পরবর্তীতে নির্দোষ প্রমাণিত হলেও, তিনি অবসরে যাওয়ার পরেও বঞ্চনার শিকার হন। তবে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর, ১৭ আগস্ট ২০২৪ সালে তাকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। অবশেষে, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ সালে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান।
ডঃ শেখ আব্দুর রশিদের কর্মজীবন একজন মেধাবী প্রশাসকের অসাধারণ উদাহরণ। তার অবদান ও সাফল্য বাংলাদেশের প্রশাসনিক ক্ষেত্রের ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।