মেজর শরিফুল হক ডালিম: একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্বের জীবনকথা
মেজর শরিফুল হক ডালিম, বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা এবং মুক্তিযুদ্ধের বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত যোদ্ধা হলেও, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার কারণে তিনি সমালোচনার সম্মুখীন হন।
প্রাথমিক জীবন ও কর্মজীবন:
শরিফুল হক ডালিমের জন্ম ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬ সালে। তিনি ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগ দেন এবং পরবর্তীতে ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের জন্য বীর উত্তম খেতাব লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ঘটনা ও এর পরবর্তী সময়:
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে মেজর ডালিমের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। তিনি ঘটনার পর বেতারে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে। এই ঘটনার জন্য তাকে পরে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। তবে তিনি পলাতক ছিলেন। ২০২১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার তাঁর মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিল করে। ৭৫-এর পরবর্তী সময়ে তিনি বিভিন্ন দূতাবাসে কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আধুনিক সময়:
২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারী প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে লাইভ সাক্ষাৎকারে অংশ নেন মেজর ডালিম। সাক্ষাৎকারে তিনি তার জীবন, সমসাময়িক রাজনীতি এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে তার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
পরিবার:
ডালিমের স্ত্রী ছিলেন নিম্মি চৌধুরী এবং তাদের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তার ছোট ভাই কামরুল হক স্বপন।
উল্লেখ্য: উপরোক্ত তথ্য বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই তথ্যের নির্ভুলতা নিশ্চিত করার জন্য আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি তবে যে কোন তথ্যের সঠিকতা নিয়ে কোন নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না।
মেজর শরিফুল হক ডালিম (সামরিক কর্মকর্তা)
মেজর শরিফুল হক ডালিমের জন্ম ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬ সালে।
তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বীর উত্তম খেতাব পেয়েছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন এবং ২০২৫ সালে একটি ইউটিউব সাক্ষাৎকারে অংশ নেন।
শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিল করা হয়।