মেঘনা নদীর চর

মেঘনা নদীর চরকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংঘর্ষ ও জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। রায়পুরের পশ্চিমে মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিগত বছরগুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন মাস্টারসহ কয়েকজন এই চরের সরকারি খাস জমি দখলে রাখার অভিযোগ উঠেছে। শেখ হাসিনার পতনের পর, স্থানীয় বিএনপি নেতারা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা গাজীর নেতৃত্বে, চরের জমি দখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০ ও ২১ ডিসেম্বর সংঘর্ষের ঘটনায় দলীয় কার্যালয়, মাছের আড়ত, বসতঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে। দুটি মোটরসাইকেলেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই ঘটনার পর, উপজেলা বিএনপি তাদের সংশ্লিষ্ট কমিটি বিলুপ্ত করে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে। উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিল ইউপির মেঘনার চরাঞ্চলে প্রায় ২৭০০ একর সরকারি খাস জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের নামে একশ্রেণির অসাধু ভূমি কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী ব্যক্তি এই জমি দখল করে রেখেছে। মেঘনা নদীর চরে ভিটেমাটি হারানো হাজারও পরিবার বসবাস করে এবং চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • মেঘনা নদীর চরের জমি দখলের জন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ
  • ২০-২১ ডিসেম্বর সংঘর্ষে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা
  • উপজেলা বিএনপি কমিটি বিলুপ্ত ও তদন্ত কমিটি গঠন
  • প্রায় ২৭০০ একর সরকারি জমি দখলের অভিযোগ
  • জেলা প্রশাসকের তদন্তের নির্দেশ

গণমাধ্যমে - মেঘনা নদীর চর

২২ ডিসেম্বর ২০২৪

মেঘনা নদীর চরে জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে।