মেক্সিকো সরকার: একটি আঞ্চলিক শক্তি ও উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশ
মেক্সিকো সরকার, আনুষ্ঠানিকভাবে মেক্সিকান যুক্তরাষ্ট্র (Estados Unidos Mexicanos) নামে পরিচিত, উত্তর আমেরিকার একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র। এটি ৩১টি রাজ্য ও একটি রাজধানী শহর (যুক্তরাষ্ট্রীয় জেলা) নিয়ে গঠিত। মেক্সিকোর সরকার ব্যবস্থা তিনটি শাখায় বিভক্ত: নির্বাহী, আইন প্রণয়নকারী এবং বিচার। রাষ্ট্রপতি একাধারে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান। আইনসভা দ্বিকাক্ষিক, নিম্নকক্ষ (ফেডারেল চেম্বার অভ ডেপুটিজ) ৫০০ সদস্য এবং উচ্চকক্ষ (সেনেট) ১২৮ সদস্য নিয়ে গঠিত।
মেক্সিকোর ইতিহাসে প্রাক-কোলোম্বিয়ান যুগে ওলমেক, তোলতেক, তিওতিহুয়াকান, মায়া ও আজটেক সভ্যতা বিকাশ লাভ করেছিল। ১৫২১ সালে স্পেন নিউ স্পেন প্রতিষ্ঠা করে, যা পরবর্তীতে মেক্সিকো উপনিবেশে পরিণত হয়। ১৮২১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে মেক্সিকো স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীনতার পর দেশটিতে অর্থনৈতিক অস্থিরতা, অঞ্চল হস্তান্তর, গৃহযুদ্ধ এবং বৈদেশিক হস্তক্ষেপের ইতিহাস দেখা যায়। ১৯১০ সালের মেক্সিকান বিপ্লবের ফলে ১৯১৭ সালের সংবিধান প্রণয়ন করা হয় এবং বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার সূত্রপাত হয়। ২০০০ সালে প্রথমবারের মতো প্রাতিষ্ঠানিক বিপ্লবী দল (PRI) ক্ষমতা হারায়।
মেক্সিকো একটি আঞ্চলিক শক্তি এবং ১৯৯৪ সাল থেকে অর্গ্যানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (OECD)-এর একমাত্র লাতিন আমেরিকান সদস্য। এটি উচ্চ মধ্য-আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং সদ্য শিল্পায়িত দেশ হিসেবেও পরিচিত। জিডিপির বিচারে মেক্সিকো বিশ্বের একাদশ বৃহত্তম অর্থব্যবস্থা। মেক্সিকোর অর্থনীতি NAFTA (মেক্সিকোর নর্থ আমেরিকান ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট) সহযোগীদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। তবে দেশটিতে অসম আয়বণ্টন ও মাদকদ্রব্য-সংক্রান্ত হিংসা প্রধান সমস্যা।
আমেরিকানদের সাথে মেক্সিকো যুদ্ধ (১৮৪৬-১৮৪৮) দেশটির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই যুদ্ধে মেক্সিকো উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভূখণ্ড হারিয়েছে।
বর্তমানে মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি ক্লাউদিয়া শেইনবাউম (২০২৪ সালের ১ অক্টোবর শপথ গ্রহণ)। রাষ্ট্রপতি ৬ বছর মেয়াদে নির্বাচিত হন এবং পুনর্নির্বাচনের সুযোগ নেই।
মেক্সিকোর সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার জন্য আমরা আপনাকে পরবর্তীতে আরও তথ্য দিয়ে আপডেট করব।