বাংলাদেশে শীতের আগমনে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ একটি পরিচিত ঘটনা। এই প্রবাহ সাধারণত দেশের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে বেশি অনুভূত হয়। এই লেখায় আমরা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কি?
আবহাওয়াবিদদের মতে, যখন কোনো এলাকার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে তখন সেই এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় বলে ধরা হয়। এই তাপমাত্রার স্থায়িত্ব অন্তত তিন দিন থাকতে হয়। শুধুমাত্র তাপমাত্রা কমে যাওয়া নয়, এটি একটি নির্দিষ্ট সময়কাল ধরে অব্যাহত থাকা প্রয়োজন।
২০২৪ সালের শীতের মৃদু শৈত্যপ্রবাহ:
২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে, বিশেষ করে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, টানা পাঁচ দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল। রাজশাহী, যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায়ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হয়।
প্রভাব ও সতর্কতা:
মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ফলে রাতের তাপমাত্রা কমে যায় এবং মানুষ শীতে কষ্ট অনুভব করে। শিশু ও বৃদ্ধদের শীতজনিত রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কৃষিকাজেও কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ঘন কুয়াশা যানবাহন চলাচলে बाधा সৃষ্টি করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকা:
আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে এবং শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস প্রদান করে। তাদের সতর্কতা ও পূর্বাভাসের মাধ্যমে মানুষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
উপসংহার:
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বাংলাদেশের শীতকালীন আবহাওয়ার একটি অংশ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ও সতর্কতার প্রতি লক্ষ্য রেখে, প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করে এই শীতকালীন প্রকোপ থেকে নিরাপদে থাকা সম্ভব।