আবহাওয়া: পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের স্বল্পমেয়াদী অবস্থার বর্ণনা। একদিনের বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রা, চাপ, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি তথ্যকে আবহাওয়া বলা হয়। ৩০-৩৫ বছরের গড় আবহাওয়াকে জলবায়ু বলে। আবহাওয়া বিজ্ঞান এই দুইয়ের উপর গবেষণা করে। পৃথিবীর আবহাওয়া ট্রপোস্ফিয়ারে ঘটে, যেখানে তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। সূর্যের কোণ, অক্ষাংশ, মেরু ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বাতাসের তাপমাত্রার পার্থক্য, হ্যাডলি সেল, ফেরেল সেল, মেরু কোষ, জেট প্রবাহ ইত্যাদি আবহাওয়ার উপর প্রভাব ফেলে। পৃথিবীর অক্ষরেখার নতির কারণে বছরের বিভিন্ন সময়ে সূর্যের আলোর কোণ পরিবর্তিত হয়, যা আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে। পৃষ্ঠের তাপমাত্রার পার্থক্য বায়ুচাপের পার্থক্যের কারণ হয়, যা বাতাসের সৃষ্টি করে। আবহাওয়া একটি বিশৃঙ্খল ব্যবস্থা, যেখানে ক্ষুদ্র পরিবর্তন ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ। মানুষ সহস্রাব্দ ধরে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে আসছে। আবহাওয়া পৃথিবীর ভূ-প্রকৃতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মৃত্তিকার ক্ষয়, অ্যাসিড বৃষ্টি, সমুদ্রের লবণাক্ততা ইত্যাদিতে আবহাওয়ার প্রভাব রয়েছে। ইতিহাসে আবহাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, জনসংখ্যার বন্টন, ফসলের উৎপাদন, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদিতে প্রভাব ফেলেছে। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাও চালানো হয়েছে। মেঘ বীজনে আংশিক সাফল্য পাওয়া গেছে। অন্যান্য গ্রহে আবহাওয়া অধ্যয়ন পৃথিবীর আবহাওয়া বোঝার জন্য সাহায্য করে। বৃহস্পতির গ্রেট রেড স্পট, সৌর বায়ু, স্থানের আবহাওয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
আবহাওয়া
মূল তথ্যাবলী:
- আবহাওয়া হল একদিনের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা।
- ৩০-৩৫ বছরের গড় আবহাওয়াকে জলবায়ু বলা হয়।
- সূর্যের কোণ, অক্ষাংশ, বায়ুচাপের পার্থক্য আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে।
- আবহাওয়া পৃথিবীর ভূ-প্রকৃতি গঠনে ভূমিকা পালন করে।
- মানুষ সহস্রাব্দ ধরে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে আসছে।
- আবহাওয়ার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।