মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর: বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশের রাজনৈতিক জীবনে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর বর্তমান মহাসচিব। ২৬ জানুয়ারি ১৯৪৮ সালে ঠাকুরগাঁওয়ে জন্মগ্রহণকারী এই রাজনীতিবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তার পিতার নাম মির্জা রুহুল আমিন এবং মাতার নাম মির্জা ফাতেমা আমিন। ১৯৭২ সালে বিসিএস (শিক্ষা ক্যাডার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি ঢাকা কলেজে অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরে তিনি আরও বেশ কিছু সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেন এবং সরকারি দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে তিনি তৎকালীন উপ-প্রধানমন্ত্রী এস.এ. বারীর ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কাজ করেন।
রাজনৈতিক জীবন:
১৯৮৬ সালে শিক্ষকতা ছেড়ে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদান করেন। ১৯৮৮ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬ সালে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশ নেন, কিন্তু পরাজিত হন। অবশেষে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে বিজয়ী হন এবং কৃষি মন্ত্রণালয় ও পরবর্তীতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ ও বগুড়া-৬ আসনে মনোনয়ন পেয়ে বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হলেও শপথ গ্রহণ করেননি।
বিএনপিতে ভূমিকা:
২০০৯ সালে বিএনপির ৫ম জাতীয় সম্মেলনে তিনি দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হন। ২০১১ সালের ২০শে মার্চ খন্দকার দেলওয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর তাকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিযুক্ত করা হয়। ২০১৬ সালের ১৯শে মার্চ দলের ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে তিনি দলের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। বিরোধী দলের মুখপাত্র হিসেবে তিনি বিভিন্ন সময়ে সরকারের সমালোচনা করে আসছেন এবং বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচীর নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ব্যক্তিগত জীবন:
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাহাত আরা বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ। তাদের দুই মেয়ে।
পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড:
তার পিতা মির্জা রুহুল আমিন ছিলেন একজন আইনজীবী এবং ঠাকুরগাঁওয়ে বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার চাচা মির্জা গোলাম হাফিজ ছিলেন বিএনপি নেতা, সাবেক মন্ত্রী এবং জাতীয় সংসদের ৪র্থ স্পিকার। তার অপর চাচা উইং কমান্ডার এস. আর. মির্জা মুজিবনগর সরকারের ডাইরেক্টোরেট অব ইয়ুথ ক্যাম্পের পরিচালক ছিলেন।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত তথ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। আরও তথ্য পাওয়া গেলে এই লেখাটি আপডেট করা হবে।