মাস্টার প্ল্যান

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:২৭ এএম

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান: একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষার কাহিনী

পশ্চিমবঙ্গের ঘাটাল মহকুমা বারবার বন্যার কবলে পড়ে। এই বন্যা থেকে রক্ষা পেতে ১৯৫৯ সালে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রস্তাব করা হয়। তবে নানা কারণে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে।

১৯৫৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের মানসিংহ কমিটি বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে এবং প্রকল্পের প্রস্তাব দেয়। ১৯৮৩ সালে রাজ্যের তৎকালীন সেচমন্ত্রী প্রভাস রায় প্রকল্পের শিলান্যাস করেন, কিন্তু কাজ থমকে যায়। ১৯৯৩ সালে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটি গঠিত হয়, কিন্তু তাতেও কোন সাফল্য আসে নি।

২০০৯ সালে রাজ্য সরকার প্রকল্প পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয় এবং ডিটেইল প্রোজেক্ট রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি হয়। ২০১০ সালে ডিপিআর গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিশনে জমা পড়ে, কিন্তু ২০১১ সালে কেন্দ্রীয় সরকার আরও তথ্য চেয়ে ডিপিআর ফেরত পাঠায়। ২০১৫ সালে কেন্দ্র সবুজ সংকেত দেয়, তবুও কাজ শুরু হয় নি।

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের মূল লক্ষ্য হল ঘাটালকে ঘিরে থাকা নদী ও খালের নিয়মিত ড্রেজিং, পাম্প হাউস নির্মাণ, নদীপথ সংস্কার, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ এবং লক গেট স্থাপন।

২০১১ সালে তৎকালীন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া প্রকল্প নিয়ে উদ্যোগী হন। গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিটি প্রকল্পকে ছাড়পত্র দেয়। প্রকল্পের প্রাথমিক বাজেট ছিল ২,২০০ কোটি টাকা, পরে কমে দাঁড়ায় ১,২৪০ কোটি টাকা। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ই ৫০ শতাংশ করে ব্যয়ভার বহন করার কথা ছিল।

তবে, আজও প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়নি। বন্যার সময় ঘাটালের অবস্থা দেখে রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরকে দোষারোপ করছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৫৯ সালে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রস্তাব
  • ১৯৮৩ সালে প্রকল্পের শিলান্যাস
  • দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়া
  • নদী ড্রেজিং, পাম্প হাউস, বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি প্রকল্পের লক্ষ্য
  • কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে টানাপোড়েন

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।