মাজহারুল হক নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, আমরা কয়েকজন মাজহারুল হক সম্পর্কে জানতে পারি:
১. বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজহারুল হক: এই মাজহারুল হক (মৃত্যু: ১৯৮৩) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি সাহসিকতার জন্য বীর প্রতীক খেতাব পেয়েছিলেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি রংপুর জেলার সদর উপজেলার মাহিগঞ্জে। ইপিআরে চাকরি করতেন এবং ১৯৭১ সালে রংপুর ইপিআর উইংয়ে (বর্তমানে ব্যাটালিয়ন) কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে ৬ নম্বর সেক্টরের সাহেবগঞ্জ সাব-সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। নাগেশ্বরী, পাটেশ্বরীসহ বিভিন্ন স্থানে সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন। রায়গঞ্জ এবং ভুরুঙ্গামারীতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
২. মোঃ মজাহারুল হক প্রধান: এঁকে একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পঞ্চগড়-১ আসন থেকে ২০০৮ এবং ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫৩ সালের ১ জানুয়ারি পঞ্চগড় জেলার বুড়িপাড়া দ্বারিকামারী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
৩. স্থপতি মাজহারুল ইসলাম: এই মাজহারুল ইসলাম (জন্ম: ২৫ ডিসেম্বর ১৯২৩ - মৃত্যু: ১৪ জুলাই ২০১২) বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশের একজন প্রসিদ্ধ স্থপতি ছিলেন। বাংলাদেশের স্থাপত্য পেশায় তাঁর অবদান অসামান্য। তিনি বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের প্রথম সভাপতি ছিলেন।
৪. ডা. এ.এ. মাজহারুল হক: এই মাজহারুল হক (মৃত্যু: ২০১৩) একজন ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামী, ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। কিশোরগঞ্জের একজন বরেণ্য চিকিৎসক হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। মাতৃভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাঁর নেতৃত্বে রক্তপাতহীনভাবে কিশোরগঞ্জ মুক্ত হয় এবং সেখানে প্রথম স্বাধীনতা পতাকা উত্তোলিত হয়।
৫. মো. মাজহারুল হক: এই মাজহারুল হক গুলশান থানার সাবেক ওসি ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তিনি বিচারিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছেন।
প্রদত্ত তথ্য যথেষ্ট না হলে, আরও তথ্য পাওয়ার পর আমরা আপনাকে আপডেট করব।